মঙ্গলবার বিজেপি যুব মোর্চার বিকাশ ভবন (BJP Agitation) অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেক করুণাময়ী চত্বরে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে এদিন বিজেপি যুব মোর্চা বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপির আইনজীবী নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল-সহ আরও অনেকে। তবে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষের মতো শীর্ষ নেতারা।
করুণাময়ী মোড়ে জমায়াতের পর বিকাশ ভবন অভিমুখে রওনা হলে মাঝপথেই বিজেপির মিছিল (BJP Agitation) আটকে দেয় পুলিশ। ময়ূখ ভবনের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই দফায় দফায় জলকামান দিয়ে সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। তাতেই কাজ না হয়ে যায়। পিছু হটতে শুরু করে নেতৃত্ব-সহ সমর্থকরা। প্রশাসনের তরফে মাইকিং করে জানানো হয় এই জমায়েত অবৈধ। সুতরাং, জমায়েত সরিয়ে না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং পুলিশের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহনশীলতা ও ধৈর্যের প্রমাণ দেওয়া হয়। জমায়েত সরাতে কোনওরকম বল প্রয়োগের রাস্তায় হাঁটেনি পুলিশ। খুব বেশি বেগও পেতে হয়নি পুলিশকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই জমায়েত সরিয়ে নেয় বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন-জল্পনাই সার: কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না, টুইটে জানালেন পিকে
আসলে বিজেপির এদিনের মিছিল ছিল কার্যত নির্বিষ। মাত্র কয়েকশো কর্মী-সমর্থক জমায়েত করে এই অভিযানে নামে বিজেপি। যা কার্যত সুপার ফ্লপ। এবং খুব বেশি সমর্থক না আসার খবর শুভেন্দু অধিকারীর কানে যাওয়ায় তিনিও বিকাশ ভবন অভিযানে যোগ দেননি বলেই খবর।
অন্যদিকে, বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী-সমর্থকদের একটি অংশ মিছিলে প্রতিবাদ জানাতে হাজির হয়েছিলেন চপ-মুড়ি হাতে। এমন অভিনব প্রতিবাদের কারণ নিয়ে তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যের একাধিক যুব চাকরি পাচ্ছেন না। যোগ্যরাও বঞ্চিত হচ্ছেন বিভিন্ন রকমের দুর্নীতির জন্য। আপাতত বাংলায় শুধুমাত্র চপ-মুড়ি ভেজেই সংসার চালাবেন তাঁরা।













































































































































