কেন্দ্রের পাল্টা শিক্ষানীতি (West Bengal Education Policy) তৈরি করছে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। তাতে আপত্তি নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। রবিবার কলকাতায় বণিকসভার অনুষ্ঠান শেষে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, “সমগ্র দেশ যা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আলাদা কিছু করতে চায়। এটা রাজনৈতিক নাকি অন্য কারণে, তা জানি না। তবে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির সঙ্গে কোনও রাজ্য যদি কিছু যোগ করতে চায়, তা সাংবিধানিক অধিকার। তাতে কোনও আপত্তি নেই।”
বিদেশি শিক্ষানীতিকে নকল করে নয়, বাংলার শিক্ষানীতি (West Bengal Education Policy) হবে বাস্তবের ওপর দাঁড়িয়ে। কেন্দ্র মিশিগান ও অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে টুকলি করে যে শিক্ষানীতি তৈরি করেছে তা মানছেন না রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাই এবার কেন্দ্রের পাল্টা নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করার জন্য বাংলার দশ কৃতী শিক্ষাবিদকে নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। এই শিক্ষানীতি তৈরির জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। যত দ্রুত সম্ভব শেষ করার কথা বলা হয়েছে। অধ্যাপিকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক ছাড়াও কমিটিতে রয়েছেন সুগত বসু, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ডিরেক্টর অনুপম বসু, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈকত মৈত্র, শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার, সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও উচ্চমাধ্যমিক সংসদ এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কেও রাখা হয়েছে এই কমিটিতে।
আরও পড়ুন: বালিগঞ্জে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিকৃত প্রচারেও হার বিরোধীদের: কুণাল ঘোষ
কী কী বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই কমিটি কাজ করবে সে সম্পর্কে সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। ২০২০ সালে ইউজিসির গাইডলাইন দেখে নিয়ে কমিটি তার রিপোর্ট তৈরি করবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি ঘোষণার পর মহারাষ্ট্র এবং কেরল কী নীতি গ্রহণ করেছিল তাও কমিটিতে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। কমিটিকে বলা হয়েছে, এই রাজ্যের পড়ুয়াদের সার্বিক স্বার্থ যেন রক্ষিত হয় সেইরকমভাবেই কাজ করতে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি তৈরি করেছে তা মিশিগান ও অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে। আমরা কোনওভাবেই ওই ধরনের নীতি গ্রহণ করব না। রিপোর্ট পেশ করার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে না দেওয়া হলেও দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।



































































































































