মগরাহাট (Mograhat Murder Case) জোড়া খুন নেট ঘটনায় নয়া মোড় খুনের কথা স্বীকার করেছেন কিন্তু মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লা (Jaane Alam Molla) রবিবার টলিগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করার পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে এই দাবি করলেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, জানে আলমকে ইমারতি দ্রব্য কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী এবং তাঁর বন্ধু মলয় মাকাল। কিন্তু জিনিস বা টাকা কিছুই ফেরত পাননি তাঁরা। টাকা ফেরতের টোপ দিয়ে ঘটনার দিন তাঁদের ডেকেছিলেন মূল অভিযুক্ত। সেখানেই প্রথমে তাঁর লাইসেন্সড আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে দুজনকে গুলি করা হয়। পরে মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। জেরায় খুনের কথা জানে আলম স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
আরও পড়ুন: পুরনো হবেনা প্রেম তাই একসঙ্গে ন’জন মহিলাকে বিয়ে করলেন ব্রাজিলিও মডেল
ধৃতকে আদালতে তুলে হেফাজাতে চাইবে পুলিশ। তাঁকে নিয়ে খুনের পুনর্নির্মাণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই খুনে অভিযুক্ত জানে আলম ছাড়া আর কে কে জড়িত বা টাকা-পয়সার লেনদেন ছাড়াও আর কোনও কারণ আছে কি না সে দিকগুলোও ধৃতকে জেরা করে জানা হবে। পুলিশ সুপার জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করা হয়। শনিবার রাতভর তল্লাশি করার পর রবিবার গাড়ি করে পালানোর সময় টালিগঞ্জ থেকে জানে আলম মোল্লাকে (Mograhat Murder Case) গ্রেফতার করে পুলিশ। এখন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর কী কী সূত্র উঠে আসে সেটাই দেখার।
এদিকে, এদিন নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। বাড়ি গিয়ে বরুণ চক্রবর্তী ও মলয় মাকাল পরিবারের সদস্যদের হাতে আড়াই লাখ টাকা করে দুটি চেক তুলে দেন সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। সিভিক পুলিশে কর্মরত অবস্থায় বরুণ মারা যাওয়ায় তাঁর পরিবারের একজনকে যাতে চাকরি দেওয়া হয়, সে জন্য নবান্নে চিঠি পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা শাসক।













































































































































