চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। দেশে জ্বালানির হাহাকার। প্রায় বন্ধ পরিবহণ। খরচ বাঁচাতে ১০-১৩ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে দেশ জুড়ে। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কলম্বোর মানুষ।এরপরই শুরু হয় জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন প্রেসিডন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্কটে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন:Petrol Diesel Price Hike:জ্বালানির দামে ছ্যাঁকা, কলকাতায় সেঞ্চুরির পথে ডিজেল

এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ভারতের আর্থিক সাহায্যে জ্বালানি তেল আনা হয়েছে। রাজাপক্ষে সরকার জানিয়েছে, একটি জাহাজে ৪০ হাজার টন ডিজেল এসে পৌঁছেছে কলম্বো উপকূলে। গত মঙ্গলবার বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গিয়ে শ্রীলঙ্কাকে কম সুদে ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ৭,৬০০ কোটি টাকা) ঋণ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারই সাহায্যে আপাতত জ্বালানি সঙ্কট কিছুটা সামাল দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, করোনার কারণে থমকে যায় শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। এমনই চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে যে দেশের ডিজেলের ভাঁড়ার শূন্য হয়ে গিয়েছে। ৩০ শতাংশ চড়া দামে বিকোচ্ছে খাবার, ওষুধ। পরিশোধিত পানীয় জলও পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠেছে। এই কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েই বাধ্য হয়ে পথে নেমেছে দেশের সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন প্রান্ত শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ।এরই জেরে শুরু হয়েছে জরুরি অবস্থা। সরকারের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জরুরি অবস্থার নিয়ম অনুযায়ী কার্ফু চলাকালীন অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সাধারণ মানুষ বাড়ি ছেড়ে বেরতে পারবে না। সেনাবাহিনীর হাতে দেশের শাসনভার তুলে দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে শ্রীলঙ্কা সরকার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া সাইট, যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইউটিউব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে এই পদক্ষেপের সাফাই দিয়ে বলা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

































































































































