আগামী ১২ এপ্রিল রাজ্যের ২ কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন(Election Commission)। অথচ ওই একই সময়ে রাজ্যে চলবে উচ্চমাধ্যমিক(HS)। পরীক্ষার মাঝে নির্বাচন হলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়বেন পড়ুয়ারা। ফলস্বরুপ উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে বুধবার নির্বাচন কমিশনের স্বারস্থ হল তৃণমূল(TMC)। এদিন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের(SukhenduShekhar Roy) নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল কমিশন অফিসে উপস্থিত হন। লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয় ১২ তারিখের উপনির্বাচনটি যাতে পিছিয়ে দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের তরফে এদিন যে আবেদন করা হয়েছে তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। যদিও বেশকিছু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর সেইসব পেরিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নন কমিশনের কর্তারা। পাশাপাশি ওইদিন দেশের আরও তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন রয়েছে। তাই দিনক্ষণ পিছিয়ে দিলে, তাও পিছিয়ে যাবে। এই অবস্থায় তৃণমূলের আবেদন কমিশনের বিবেচনাধীন।
আরও পড়ুন:অপেক্ষার অবসান! আজ থেকে শুরু হল ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ
এদিকে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “উপনির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও আসন ফাঁকা হলে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করাতে হয়। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বাবুল সুপ্রিয় অক্টোবর মাসে পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য কমিশন চাইলে ওই কেন্দ্রের নির্বাচন ৫ রাজ্যের নির্বাচনের সঙ্গে করিয়ে দিতে পারত। এখন নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরির সম্ভাবনা থাকবে। অবশ্য বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে সে সম্ভাবনা নেই। আমরা কমিশনকে আমাদের প্রস্তাব দিয়েছি। ওরা ওদের মতো করে বিষয়টি দেখছে। আমরাও দেখছি উচ্চ শিক্ষা সংসদের সঙ্গে বলে বিষয়টার সমাধান করা যায় কিনা।