প্রয়াত রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর৷ আজ মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি৷ তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন:Sandhan Pandey: অপূরণীয় ক্ষতি: সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রবিবার সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘আজ রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যুসংবাদে আমি গভীর ভাবে ব্যথিত৷ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তাঁর সঙ্গে আমার দারুণ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল৷ তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অনুগামীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই৷ ওম শান্তি!’
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1495279648712048642?s=24
সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। ট্যুইটে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী শ্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার, বন্ধু এবং অনুরাগীদের আমার সমবেদনা রইল। তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। ওম শান্তি।”
Saddened by the passing away of West Bengal Minister; Shri Sadhan Pande ji. My thoughts are with his bereaved family, friends & followers.
Prayers for the departed soul.
Om Shanti 🙏🏻— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) February 20, 2022
অন্যদিকে মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, এদিন ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “ওঁ দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল।তাঁর পরিবার সহ আপনজনদের প্রতি সমবেদনা ও তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।ওম শান্তি !”
ওঁ দিব্যান্ লোকান্ স গচ্ছতু
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল।তাঁর পরিবার সহ আপনজনদের প্রতি সমবেদনা ও তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি।
ওম শান্তি ! pic.twitter.com/Wr0R1ZjCEH
— Dilip Ghosh (Modi Ka Parivar) (@DilipGhoshBJP) February 20, 2022
সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে আমি ব্যাথিত। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। ১০ বছর আগে তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময়েও একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি ফের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফুসফুসের সংক্রমণে আক্রান্ত মন্ত্রীকে ১৬ জুলাই রাতে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। করোনাতেও আক্রান্ত হন তিনি৷ কয়েক দিন ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাঁকে। সেপ্টেম্বরে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই আজ সকাল ১০.৩৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর৷