ইউক্রেন(Ukraine) থেকে রাশিয়া(Russia) সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানালেও বিতর্ক থামছে না। ইউক্রেন রাশিয়ার সীমান্তের উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে আসার পর এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের(United nation) এই ইস্যুতে সরব হতে দেখা গেল আমেরিকাকে(America)। সেনা প্রত্যাহারের আশ্বাস বাণী খারিজ করে মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দাবি, ইউক্রেন সীমান্তে পুরোদমে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া সেনা। গোয়েন্দা রিপোর্টে যা স্পষ্ট। রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকা এভাবে সরব হওয়ার পর আমেরিকার মস্কোর দূতাবাসের এক আধিকারিককে রাশিয়া বরখাস্ত করেছে।

এদিন ইউক্রেনের সেনা অভিযান না চালানোর বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রাশিয়ার প্রতিশ্রুতি দাবি করেন মার্কিন বিদেশ সচিব। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই আক্রমণ শুরু করবে রুশ সেনা। এরই মাঝে রাশিরায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্তের ঘটনা পশ্চিমের দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন:তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন, তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেও এখন এই দাবি বিশ্বজিৎ দাসের
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি উপগ্রহচিত্রে দেখা যাচ্ছে, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানো তো দূরের কথা, এখনও ক্রমাগত সেনা পাঠিয়ে যাচ্ছে মস্কো। ইউক্রেন সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ১৪টি ঘাঁটি বানিয়েছে রুশ ফৌজ। দ্রুত সীমান্তে সেনা পাঠাতে রাতারাতি তৈরি করে ফেলা হয়েছে অস্থায়ী সেতু। তা ছাড়া, রুশ সীমান্ত-শহর ভালিউকিতে বেশ কিছু সাঁজোয়া গাড়ি ও সেনা কপ্টার মজুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার এই শহরটি ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে। বুধবার ক্রাইমিয়ার বন্দরে পৌঁছেছে তিনটি রুশ যুদ্ধজাহাজ। ২০১৪ থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের এই অংশটি নিজেদের দখলে রেখে দিয়েছে। সবমিলিয়ে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি কাটছে না কোনওভাবেই।
যদিও মঙ্গলবার মস্কোর তরফে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কোনরকম সম্ভাবনা সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র আইগর কোনাশেনকভ জানান, দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রদেশের সেনা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট মহড়া শেষ হওয়ায় তারা ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু এর পরেই বাইডেন বলেছিলেন, “মুখে বাহিনী প্রত্যাহারের কথা বললেও রাশিয়া যে কোনও সময় ইউক্রেনের উপরে হামলা চালাতে পারে।” সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য ছিল, “রাশিয়া যে সত্যিই সীমান্ত থেকে কিছুটা বাহিনী সরিয়েছে, তার প্রমাণ কিন্তু আমরা পাইনি। উল্টে বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্ত লাগোয়া এমন জায়গায় রয়েছে, যা এখনও যথেষ্ট ভয়ের।”












































































































































