International:অনলাইনে টিকিট কেটে মাটি খুঁড়ে মিলছে হিরের হদিশ !

0
2

এদিক ওদিক তাকিয়ে থেকে ‘অমুল্য রতন’ খোঁজার অভ্যেস আছে কি আপনার? তাহলে হয়তো এই সুযোগ আপনার জন্য। শুধু একটু মাটি খোঁড়াখুঁড়ির ঝক্কি পোহাতে পারলেই হল, ব্যাস তারপর কেল্লা ফতে! তবে হ্যাঁ তার আগে অবশ্যই অনলাইনে (Online)বা নিজে গিয়ে টিকিট কেটে নেবেন, না হলে আরকানসাস স্টেট পার্কে (Arkansass State Park)প্রবেশ করা যাবে না। আসলে আমেরিকার ওই পার্কেই তো আছে অমূল্য হিরে (Diamond)। অনেকের কাছে এই স্থান ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক(Diamonds State Park)নামেও পরিচিত। একরের পর একর জুড়ে মাটির নীচে রয়েছে রংবেরঙের হিরে। আমেরিকার ওই পার্কে একরের পর একর জুড়ে ‘হিরের খনি'(Diamond mine)!

আরও পড়ুন- High Court: বেনজির! ৩৪ সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের 

পৃথিবীর একমাত্র হিরের খনি যেখানে আমজনতার অবারিত দ্বার । আরকানসাসের পাইক কাউন্টিতে মারফ্রিজবোরো শহরে প্রায় ৯১১ একর ধরে গড়ে উঠেছে ওই হিরের পার্ক(Diamond Park)। তার মধ্যে সাড়ে ৩৭ একর জুড়ে রয়েছে শুধুই ‘হিরের খনি'(Diamond mine)। ফলে এখানে প্রবেশ করা মাত্রই হিরের খোঁজে লেগে পড়তে পারেন আপনিও। তবে হ্যাঁ শর্ত একটাই, পার্কে প্রবেশ করতে গেলে অনলাইনে বা সশরীরে গিয়ে টিকিট কাটতে হবে আপনাকে। কিন্তু প্রশ্ন হিরে কি আদৌ পাওয়া যায়? উত্তরটা হ্যাঁ, সূত্র বলছে আমেরিকার ওই পার্কে প্রতিদিন গড়ে অন্তত দু’টি করে হিরের হদিশ মেলে। ফলে সেখানে আমজনতার ভিড় লেগেই রয়েছে। আসলে ওই পার্কের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবে একটি পাইপের আকারে গর্ত তৈরি হয়। প্রায় সাড়ে ন’কোটি বছরের ক্ষয়িষ্ণু আগ্নেয়গিরির অংশ হল ওই পাইপটি। বার বার অগ্ন্যুৎপাতের জেরে যা এখন গর্তের চেহারা নিয়েছে।

পার্কের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, ১৯০৬ সালের অগস্টে হাডলসটন নামে এক ব্যক্তি তাঁর ২৪৩ একর খামারবাড়ির জমিতে কিছু স্ফটিক খুঁজে পান। এর কিছুদিন পরেই লিটল রক নামে এক বিনিয়োগকারী গোষ্ঠীর কাছে ওই ২৪৩ একরের একাংশ বিক্রি করে দেন হাডলসটন। এরপর ১৯০৭ থেকে জমির উপরিভাগ ক্ষয়ে যেতে থাকে আর সেই অংশ থেকে প্রায়শই তিরিশ ক্যারাট বা তার বেশি ওজনের হিরে পাওয়া যেত। হিরে পাওয়ার খবর হু হু করে ছড়িয়েছিল মারফ্রিজবোরো শহরে। হিরের টানে ওই জায়গাটি পর্যটকদের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে। অনেকের দাবি, হিরের খোঁজে আসা পর্যটকেরা ওই জমির আশপাশেই আস্ত একটি তাঁবু-শহর গড়ে ফেলেছিলেন। তার নাম দিয়েছিলেন ‘কিম্বার্লি’।

আরও পড়ুন  – খাস কলকাতার যোধপুর পার্কের ক্যাফেতে তোলাবাজির অভিযোগ!

ডায়মন্ডস স্টেট পার্কে মূলত সাদা, পিঙ্গল এবং হলদে— তিন রঙের হিরে পাওয়া যায়। ১৯৭২ সালের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সেখানে ৩৩ হাজার ১০০টি হিরে খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানা যায় । আপনি টিকিট কেটে পার্কে প্রবেশ করে নিজের যন্ত্রপাতি নিয়েই খোঁড়াখুঁড়ি করতে পারেন। অথবা ভাড়াও নিতে পারেন। তবে ব্যাটারি বা মোটরচালিত যন্ত্র নিয়ে ঢোকা নিষিদ্ধ। পার্কে হিরের খনি ছাড়াও পিকনিক করার ব্যবস্থা রয়েছে। তাঁবু খাটিয়ে দারুণ সময় উপভোগ করার জন্য ৪৭টি নির্দিষ্ট জায়গাও রয়েছে। রয়েছে ওয়াটার পার্কও। ফলে হিরের খোঁজার ইচ্ছে যদি নাও বা হয় , একটু মনোরম পরিবেশে অন্যরকম সময় কাটাতে একবার পার্কে ঢুঁ মারতেই পারেন।