সাতপাকে বাঁধা সাত জন্মের বন্ধন! পরিণাম? নৃশংস শারীরিক নির্যাতন! ২০২২ এ পৌঁছে গিয়েও আজও ‘পুত্র’সন্তান জন্ম দিতে না পারায়,স্বামীর নৃশংস অত্যাচারে রক্তাক্ত হতে হয় স্ত্রী কে (Kalna Women Harassment)। অপরাধ একটাই, দু’বার কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন ওই মহিলা। অতএব, স্ত্রী-র যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে, শিরীষ কাগজ ঘষে প্রতিশোধ নিলেন তাঁর পতিদেব। নক্কারজনক এই ঘটনার(Kalna Women Harassment) সাক্ষী হল কালনা। বাংলার বুকে ঘটে যাওয়া এই অমানবিক, ঘৃণ্য ঘটনায় নিন্দার ঝড় সর্বত্র।

আরও পড়ুনঃ গান্ধীজিকে যারা গুলি করেছিলেন আজ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে তাঁদেরই উত্তরাধিকারীরা : ব্রাত্য বসু
পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে বিয়ে হয় ওই মহিলার। বিয়ের পরপরই দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।একজন শিশুর বয়স পাঁচ অন্য শিশুটি বছর দুয়েকের। কিন্তু কন্যা সন্তানে বংশ রক্ষা হবে না যে, চাই পুত্র সন্তান! শুরু হল অত্যাচার। কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে গর্হিত অপরাধ করেছেন তো স্ত্রী, শাস্তি তো পেতেই হবে! শারীরিক নির্যাতন তো ছিলই তাতেই যোগ হল আরও এক ধাপ। যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে আবার যৌনাঙ্গের পাশে শিরীষ কাগজ দিয়ে ঘষে নিত্যদিন চলল নৃশংস অত্যাচার। সাথে আবার বিবাহ বিচ্ছেদের হুমকি, যাতে অন্য এক নারী দেহ কে সামাজিক বন্ধনে বেঁধে পুত্র সন্তান উৎপাদনের ‘মেশিন’ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আর সহ্য করা যায় নি। অত্যাচারের পরিমাণ দিনদিন বেড়ে যাচ্ছিল। শনিবার ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকজন তাঁদের বাড়ির মেয়ে কে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ। ঘটনার পর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মহিলার বাবা ও ভাই। যদিও অভিযুক্তরা এখনও অধরা।
আরও পড়ুনঃ Kunal Ghosh:শব্দের জাদুকরের এই ভাষা কেন? কবীর সুমনকে লিখলেন কুণাল


অসহায় ওই গৃহবধূর বাবা অনেক আশা নিয়ে মেয়ের সংসার সাজাতে চেয়েছিলেন, দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেন নি এই হবে তার পরিণতি। গৃহবধুর বাবা বলেন যে তাঁর জামাই পুত্র সন্তান চেয়েছিল। কিন্তু দু’বার কন্যা সন্তান হওয়ায়, মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে স্পষ্ট ফরমান জারি করে বলা হয়, মেয়ের যেন আর সন্তান না হয় ।সেই চিকিৎসা করিয়ে তবেই শ্বশুরবাড়িতে মেয়েকে রেখে আসা যাবে। কিন্তু এরপরও কমেনি অত্যাচারে মাত্রা।
আরও পড়ুনঃ গুগল ম্যাপ দেখে চালাতে গিয়ে রেললাইনে গাড়ি তুলল মদ্যপ চালক!










































































































































