মোদি শাসনে দুর্দশার অন্ত নেই দেশের বরিষ্ঠ নাগরিকদের। বিগত ৮ বছরের মোদি জমানায় দফায় দফায় কমেছে পোস্ট অফিস(post office) ও ব্যাংকের(Bank) সুদের হার। এই অবস্থায় আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের স্বার্থে ফিক্স ডিপোজিট ও পিপিএফে সুদের হার বাড়ানোর দাবি তুলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে(Nirmala sitaraman) চিঠি লিখলেন শিবসেনার রাজ্যসভা সংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী(Priyanka Chaturvedi)। পাশাপাশি পোস্ট অফিসে টাকা জমার ঊর্ধ্বসীমা সরানোর আবেদন করেন তিনি।

নির্মলা সীতারমনকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী লিখেছেন, লাগাতার নিম্নমুখী সুদের হারের কারণে দেশের প্রবীণ নাগরিকরা ভীষণ রকম সমস্যায়। ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসের সুদের উপর নির্ভরশীল দেশের বেশিরভাগ বরিষ্ঠ নাগরিকরা তাঁদের নিজেদের খরচ চালাতে দিশাহারা। তার উপর বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে সরকারকে এই সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
আরও পড়ুন:সাক্ষাতের সময় চেয়ে শাহ-নাড্ডার দরবারে জয়প্রকাশ-রীতেশ
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, দেশে ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির তুলনায় সুদের হার অত্যন্ত কম। একসময় ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের হার যেখানে ১২ শতাংশ ছিল, বর্তমানে তা কমে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। পোস্ট অফিসে সুদের হার কমে গিয়ে ৭ শতাংশ নেমেছে। অথচ পোস্ট অফিসে টাকা জমার সর্বোচ্চ সীমা করা হয়েছে মাত্র ১৫ লক্ষ। পিপিএফে টাকা জমার বার্ষিক সর্বোচ্চ সীমা মাত্র ১.৫ লক্ষ। শুধু তাই নয়, পিপিএফ ছাড়া অন্য সমস্ত ক্ষেত্রে আবার সরকারকে বাড়তি কর দিতে হয়। এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রবীণ নাগরিক ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আর্থিক সংকট প্রবল হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে তারা পরিবার চালাতে অক্ষম হয়ে উঠছেন।

সবিস্তারে গোটা বিষয় উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর আবেদন, সরকার যেন আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের সমস্যার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় এবং ব্যাংক পোস্ট অফিসে সুদের হার দাঁড়ায়।















































































































































