নবনীতা মন্ডল, নয়াদিল্লি: টানা এক বছর ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের(Farmer protest) পর উত্তর প্রদেশের(UttarPradesh) বিধানসভা নির্বাচন এখন বিজেপির জন্য একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই বিষয়টি বর্তমানে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষক অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে স্থানীয় লোকজন এমন আচরণ করল, যে তাকে সেখান থেকে হাতজোড় করে ফিরে আসতে হলো। বুধবার, মুজাফফরনগরের খাতৌলি বিধানসভা আসনের বিজেপি(BJP) প্রার্থী বিক্রম সাইনি(Vikram Saini) এলাকার মুনাভরপুর গ্রামে এক সভায় গিয়েছিলেন । সেখানে গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন , ” বিধায়ক আগে বিধায়ক এর মত কাজ করুন তার পর গ্রামে এসে বক্তৃতা দেবেন।” তার পরই দেখা যায় তিনি সেখান থেকে ছুটতে ছুটতে তার গাড়িতে এসে উঠছেন, তাকে ঘিরে রয়েছে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ।প্রায় শ’খানেক গ্রামবাসী তাঁকে তাড়া করছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

এমনকি, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের ভিড় থেকে তাকে মারধরের স্লোগানও ওঠে। তার পরেই তিনি ভয় পেয়ে নিজের এলাকা থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনাই প্রমাণ করে, বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা ঠিক কোথায় এসে ঠেকেছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০ ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে দেশের সবথেকে বড় কৃষিপ্রধান রাজ্যে সাত দফায় বিধানসভা নির্বাচন। আর ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপি শাসিত রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে হাইভোল্টেজ ড্রামা। একের পর এক মন্ত্রী- বিধায়কের বিজেপি ছেড়ে অন্য দলে যোগদানে যেমন বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে, ঠিক তেমনই নিজের এলাকা থেকেই যেভাবে গ্রামবাসীরা বিজেপি প্রার্থীকে তাড়িয়ে বের করে দিল তার থেকে এটা স্পষ্ট, বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত উত্তরপ্রদেশেও পায়ের তলার জমি হারাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় জানান,”কৃষক আন্দোলন, লাখিমপুর খেরির ঘটনার পর থেকেই বিজেপি ব্যাকফুটে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবারই চেষ্টা করছে ড্যামেজ কন্ট্রোলের। কিন্তু জনগণ যে আর বিজেপিকে চায় না এই সমস্ত ঘটনা তারই প্রমাণ।”
আরও পড়ুন:British Prime Minister: দেশে করোনা অধ্যায় শেষ, প্রকাশ্যে পরতে হবে না মাস্ক: ঘোষণা বরিস জনসনের
উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা ও এবারের প্রার্থী বিক্রম সাইনি তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সু- পরিচিত। ২০১৯ সালে তিনি ভারতে যারা অ-নিরাপদ বোধ করছেন তাদের উপর “বোমা ফেলার” হুমকি দিয়েছিলেন। তার এক বছর আগে তিনি বলেছিলেন, “আমাদের দেশকে হিন্দুস্তান বলা হয়, যার অর্থ হিন্দুদের জন্য একটি জাতি”। “যারা গরু হত্যা করে তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙে দেওয়ার” হুমকিও দিয়েছিলেন তিনি।















































































































































