জেগে উঠেছে “সে”, ছড়িয়েছে ত্রাস বিশ্ব জুড়ে। আবারও বড় আশঙ্কার প্রমাদ গুনছে জাপান, আমেরিকা। প্রশান্ত মহাসাগরের নিচে থাকা আগ্নেয়গিরি, হঠাৎ জেগে উঠে ছড়িয়ে দিল সুনামির (Tsunami)আতঙ্ক। বিশ্বজুড়ে বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আবার সুনামি? উপগ্রহ চিত্র অনেকটা সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন বছরেই ধেয়ে আসতে পারে ভয়ঙ্কর সুনামি। শনিবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে জলের নীচেই হঠাৎ করে একটি আগ্নেয়গিরি থেকে শুরু হয়েছে অগ্নুৎপাত। আগ্নেয়গিরির ধ্বংসস্তূপের ধাক্কায় সমুদ্রে প্রবল ঢেউ। এই ঢেউগুলি টোঙ্গা ও জাপানের উত্তর অংশেই আছড়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যার জেরে আমেরিকার পশ্চিম উপকূল পর্যন্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে, এমন কি রাশিয়াতেও তৈরি হয়েছে সুনামির (Tsunami Warnings)আশঙ্কা ।

শনিবার সন্ধে নাগাদ উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের গর্ভে থাকা হাঙ্গা টোঙ্গা হাঙ্গা হোপাই নামের আগ্নেয়গিরি (Tonga volcano eruption) জেগে উঠেছে। লাভা বেরোনর বিকট শব্দ প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত পৌঁছয়। লাভা উদগীরণের জেরে আশপাশের সমুদ্রতলে আলোড়ন তৈরি হয়। যার জেরে টোঙ্গা উপকূল-সহ একাধিক দেশের সুনামির আশঙ্কা তৈরি হয়। সমুদ্রের আগ্রাসী ঢেউ পৌঁছে যায় ফিজি, আলাস্কায়।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, একাধিক এলাকায় বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, টোঙ্গার রাজধানী নুকু’আলোফার কাছে ১.২ মিটার অর্থাৎ প্রায় ৪ ফুট উচ্চতার ঢেউ দেখা গিয়েছে। রাত ১২টা নাগাদ আমামি ওশিমা দ্বীপে সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ে। সেই সময় ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল প্রায় ৩ ফুট।

রবিবার জাপানের মূল ভূখণ্ডেও সুনামির আশঙ্কা (Tsunami Warnings) রয়েছে। ইতিমধ্যে সুমদ্র উপকূল থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা জারি না হওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের সুমদ্রের কাছাকাছি যাওয়ার উপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর পাশাপাশি, সতর্কতা জারি নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া এবং আমেরিকার বিস্তীর্ণ এলাকায়। আলাস্কা, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনার জেরে আবারও বড় বিপর্যয়ের অশনি সঙ্কেত বিশ্বজুড়ে !






























































































































