চলতি বছর প্রায় আটটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ে, ৮ টি রাজ্যের জনগণ প্রায় ১০৩০ বিধায়ক নির্বাচন করবে। এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলির নির্বাচনী ফলাফলগুলি প্রায় ১৩৭ টি লোকসভা আসনের প্রবণতা দেখাবে। অতএব, ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং এটি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল হিসাবেও দেখা হচ্ছে।নির্বাচন কমিশন ফেব্রুয়ারি মাসে পাঞ্জাব, গোয়া, মণিপুর, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে। একই সঙ্গে গুজরাট ও হিমাচলের নির্বাচন হতে পারে বছরের শেষ পর্বে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে । এ ছাড়া সময়মতো জম্মু ও কাশ্মীরের সীমানা নির্ধারণ করা হলে এ বছরই সেখানে নির্বাচন হতে পারে।

আরও পড়ুন:পাঞ্জাবের ‘স্টেট আইকন’ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সোনু সুদ

উল্লেখযোগ্য যে ২০১৮ সালে  জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার পরে, জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা কেন্দ্রগুলির  নতুন সীমা নির্ধারণের বা ডিলিমিটেশনের কাজ চলছে ।এই বছর অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশ থেকে সর্বাধিক ৪০৩ জন বিধায়ক নির্বাচিত হবেন। এর পরে, গুজরাট থেকে ১৮২ জন, পাঞ্জাব থেকে ১১৭ জন, উত্তরাখণ্ড থেকে ৭০ জন, হিমাচল থেকে ৬৮ জন, মণিপুর থেকে ৬০ জন, গোয়া থেকে ৪০ জন বিধায়ক নির্বাচিত হবেন। জম্মু ও কাশ্মীরে ডিলিমিটেশনের পর  রাজ্যের ১.৩৬ কোটি জনসংখ্যার জন্য ৯০ টি বিধানসভা আসন থাকবে। এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা আসন ছিল ৮৭টি।জম্মু ও কাশ্মীর ছাড়া সাতটি রাজ্যের প্রায় ২১ কোটি ভোটার প্রায় ৯৪০টি আসনে ভোট দেবেন। এই ৭টি রাজ্যের মধ্যে ৬টি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এবং শুধুমাত্র পাঞ্জাবে কংগ্রেসের সরকার।

যদিও আসন্ন নির্বাচনে পাঞ্জাবে অলরাউন্ড প্রতিযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে। পাঞ্জাবে কংগ্রেস ছাড়াও আপ , আকালি এবং বিজেপি তাদের মিত্রদের নিয়ে নির্বাচনে  লড়বে । উত্তরপ্রদেশে মূল লড়াই দেখা যাচ্ছে সমাজবাদী পার্টি ও বিজেপির মধ্যে। তবে কংগ্রেস এবং বিএসপিও তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এছাড়া উত্তরাখণ্ডে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে । তবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ ওই রাজ্যে তৃতীয় শক্তি হিসাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে । একইসঙ্গে মণিপুরে মূল লড়াইও এনডিএ ও কংগ্রেসের মধ্যে। এবার গোয়াতেও দেখা যাবে আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা। এবারের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টিও সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে । একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং প্রধান বিরোধী কংগ্রেসও পূর্ণ শক্তি নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে । তবে কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়েছেন। ২০২২ সালের প্রথম পর্বে অনুষ্ঠিতব্য বিধানসভা নির্বাচনগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ, দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফলাফলেও প্রভাব ফেলবে এবং এটি রাজ্যসভার ক্ষমতার ভারসাম্যও নির্ধারণ করবে।২০২২ সালের জুলাই মাসে দেশের ১৭ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
Sign in
                            Welcome! Log into your account
                            
                            
                            
                            Forgot your password? Get help
                            
                            
                            
                            
                        Password recovery
                            Recover your password
                            
                            
                            A password will be e-mailed to you.
                        




























































































































