সময় যত গড়াচ্ছে বিজেপির অন্দরের কোন্দল তত তীব্র হয়ে উঠছে। একেই মতুয়া বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়াই রীতিমতো বিব্রত গেরুয়া শিবির। পরিস্থিতি সামাল দিতে খোদ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন তৎপর হয়ে উঠেছেন ঠিক সেই সময় রাজ্যের আরেক প্রান্তে বিজেপির(BJP) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন খড়্গপুরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়(Hiran Chatterjee)। দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মত বিরোধ চলছিল হিরণের এই অবস্থায় তার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ(WhatsApp group) ত্যাগ আদতে দলত্যাগের পূর্বাভাস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

হিরণের বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে, ইদানীং দল-সংগঠনের কোনও কাজে তাঁকে লাগানো হত না। তাই তিনি মনে করছেন, সম্প্রতি তিনি দলের মধ্যে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের তির, বঙ্গ বিজেপির বড় বড় নেতাদের বিরুদ্ধে। তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও। হিরণের দাবি, ‘রাজ্য বিজেপির বড় বড় নেতারা মনে করেন আমাকে দরকার নেই। যেখানে উন্নয়ন হবে, সেখানে আছি। উন্নয়নে বাধা দিলে প্রতিবাদ জানাব।’ দল ও দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে হিরণ আরো জানান, “দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে এসে সভা করেন। ইচ্ছামতো দল চালান। আমাকে কিছু জানান না।”
আরও পড়ুন:মজিবরের মৃত্যু শোকের মধ্যেই ১৫ দফা দাবিতে আগরতলায় রাজভবন অভিযান তৃণমূলের
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য ও জেলা কমিটিগুলিতে ব্যাপক রদবদল হয়। সূত্রের খবর, তাতে মতুয়াদের তেমন প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষুব্ধ হন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ ও সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর। সোমবার রাজ্য বিজেপির সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। তার পাশাপাশি বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন মতুয়া সংগঠনের সদস্য ও অন্যান্য বিধায়করাও। এহেন ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের হাল যখন রীতিমতো টালমাটাল তখন গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন হিরণ।












































































































































