বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা:
ভারতে Omicron-এর আতঙ্ক বাড়লেও এখনও এই ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেয়নি বাংলাদেশে। কিন্তু এখন সতর্ক না হলে ওপার বাংলাতেও করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট এবং ঢেউ দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ, এখনই এই নিয়ে মানুষকে সতর্ক হতে হবে। সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেটা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় এবং কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি যারা বিমানে ও স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ আসছেন তাদের সঠিকভাবে স্ক্রিনিং করা ও তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো উচিত।
বাংলাদেশেও আগের তুলনায় করোনার প্রকোপ এবং আক্রান্ত অনেকটাই কম। ওপার বাংলার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সেই দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৮ জন এবং মারা গিয়েছেন ৪ জন। সেই দেশে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণে অনেকেই মাস্ক পড়ছেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রেও চরম অনীহা দেখা দিয়েছে । স্বাস্থ্যবিধি না মানা হলে হলে এই মহামারি আবার ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক আকার নেবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- Corona Situation: করোনার কোপে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি, আক্রান্ত ১০ জন চিকিৎসক
একই কথা বলেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিকও। তার ফলে সব চেয়ে বেশি সংক্রমিত হবে শিশু এবং যারা এখনও টিকা নেননি তাঁরা।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ দেশে ইতিমধ্যেই Omicron আক্রান্ত বলে দুজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। যারা বিদেশ থেকে আসছে তাদের ব্যাপারে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।
কোভিড সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মার্চে নতুন ঢেউয়ের মুখোমুখি হতে পারে। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে যাবে।
ভারতে এই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই এখনই ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি নিয়ে দুএকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে চায় হাসিনা সরকার।
 
 
 
 
 
 
 
 
 





























































































































