প্রথমবার মদ খেয়েছিলাম শুভেন্দুর বাবার সঙ্গে! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন মদন

0
2

হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন তৃণমূলের (TMC) রঙিন নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra). তাঁর দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikary) বাবাই তাঁকে মদ খাওয়া (Drink) শিখিয়েছেন। শুভেন্দুর বাবার সঙ্গে প্রথমবার মদের স্বাদ নিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। শুভেন্দুর বাবা দামি বিদেশি ব্রান্ডের মদ খাইয়েছিলেন মদনকে, নিজেও খেয়েছিলেন। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা একেবারেই ভাল নয় মদন মিত্রের। কারণ, অভ্যাস না থাকায় শুভেন্দুর বাবার অনুরোধে প্রথমবার মদ খেয়ে প্রায় বমি করে ফেলেছিলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মদন মিত্র সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “জীবনে প্রথমবার আমি যে মদ খেয়েছিলাম সেটা শুভেন্দুর বাবা খাইয়েছিল। আমরা কেশপুরের দিকে যাচ্ছিলাম। সঙ্গে ছিল শুভেন্দুর বাবা। উনি বললেন মদ খাও। কী যেন একটা ব্র্যান্ড খাইয়েছিল। কী যেন নাম বলেছিল, শিবাস/ফিবাস হবে। উনি বললেন খেয়ে নাও। অভ্যাস ছিল না বলে আমি তো খেয়ে প্রায় বমি করে দিচ্ছিলাম।”

কিন্তু নাম না করে হঠাৎ কেন শিশির অধিকারীকে নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন মদন মিত্র? আজ, বুধবার মদন মিত্রকে (Madan Mitra) কটাক্ষ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “একটা চিহ্নিত মাতালের কথার উত্তর দেওয়া খুব মুশকিল। ও চিহ্নিত মাতাল। পশ্চিমবঙ্গের লোক জানে।” শুভেন্দুর এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মদন মিত্র জানান শুভেন্দুর বাবা শিশিরবাবুর হাত ধরেই তাঁর প্রথমবার মদ খাওয়া। শুধু তাই নয়, শুভেন্দুকে চোর বলেও আক্রমণ করেন মদন মিত্র।

কিন্তু কেন শুভেন্দু-মদনের মধ্যে এমন তরজা? ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের একটি সভায় গিয়ে মদন মিত্র নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দুকে ইস্তফা দিয়ে তাঁর সঙ্গে বাংলার যে কোনও বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ জানান। তাঁর কথায়, “শুভেন্দু মায়ের লাল হলে নন্দীগ্রাম থেকে ইস্তফা দিক। আমি কামারহাটি ছেড়ে দিচ্ছি। ২৯৪ বিধানসভার যেকোনও আসনে লড়ার চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। শের ভুখা মার জায়েগা, লেকিন চুহা নেহি খায়েগা।”

আরও পড়ুন- স্টার থিয়েটারে সোশ্যাল মিডিয়া সাহিত্য সম্মেলনে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করলেন কুণাল