একের পর এক টুইটে মমতাকে তোপ রাজ্যপালের, পাল্টা ধনকড়কে কটাক্ষ কুণালের

0
2

সরকারের সঙ্গে সংঘাত বজায় রেখে আপন ছন্দে টুইটবাণ জারি রেখেছেন রাজ্যপাল(governor) জগদীপ ধনকড়(Jagdeep Dhankar)। বুধবার সকালে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী(chief minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) নিশানা নিয়ে একের পর এক টুইট করলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি গোয়া সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “রাজভবনে এক রাজা বসে আছেন”। তার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে টুইটারে রাজ্যপাল লিখলেন, এই মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দাজনক এবং রাজ্যপালের পক্ষে অবমাননাকর। পাশাপাশি সরকার তার কর্তব্য পালন করছেন না বলেও এদিন তোপ দেগেছেন ধনকড়। যদিও ধনকড়কে পাল্টা তোপ দেগে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) বলেন, “উনি আগে নিজের কর্তব্য পালন করুন।”

গত ১৬ ডিসেম্বর গোয়া সফরে গিয়ে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজভবনে এক রাজা বসে আছেন”। তার সেই মন্তব্য ভিডিও এদিন টুইটারে তুলে ধরে ধনকড় লিখলেন, “এই মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দাজনক এবং রাজ্যপালের পক্ষে অবমাননাকর। একজন মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন ভাষা আশা করা যায় না। গণতন্ত্রের উন্নতির জন্য রাজ্যের প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি।  বাংলায় তা হচ্ছে না। আলোচনার জন্য বসতে চেয়েও সাড়া মেলেনি। এই মুহূর্তে রাজ্য প্রশাসনের অবস্থা উদ্বেগজনক। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত, সংবিধান ও আইন মেনে চলা।”

আরও পড়ুন:Under 19 Asia Cup: এবার করোনার হানা অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে, বাতিল হল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম‍্যাচ

এর পাশাপাশি আরও দুটি টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে ট্যাগ করে ধনকড় লেখেন, তাঁর উদ্দেশে নানারকম অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে। আরেকটি টুইটে তিনি অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত “কর্তব্য” লঙ্ঘন এবং  আমলাতন্ত্রকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করে চলেছেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল সংবিধানের ১৬৬ ও ১৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। তবে রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, উনি আগে নিজের কর্তব্য পালন করুন। একজন রাজ্যপাল কীভাবে কোনও দলকে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে পারেন?

অন্যদিকে এদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর’ অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সংবাদ মাধ্যমের কাছে রাজ্যপালের বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে। সৌগতর দাবি, রাজ্যপালের এই ধরনের মেসেজের কোনও উত্তর তিনি দেননি। কারণ তিনি জানেন, এই মেসেজের উত্তর দিলে তার স্ক্রিনশট টুইট করে উনি বিভ্রান্তি ছড়াবেন।