পুরভোটের পর্যালোচনা তথা অন্তর্তদন্ত। বিজেপির হেস্টিংস অফিসে। আর সেই বৈঠকেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রার্থীরা। কেউ বললেন, তাঁর দলের লোকেরা কাজ করেননি। কেউ বললেন, শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরা বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিয়েছে। অভিযোগ শুনলেন, দলের ট্যুইট মাস্টার অমিত মালব্য।
পুরভোটে বিপর্যয়ের পর এমনিতেই দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কোনঠাসা। সভাপতি হওয়ার পরেও তাঁকে অনেকেই মানতে নারাজ। বৈঠকে একজনকে বলতে শোনা যায়, দিলীপদার (দিলীপ ঘোষ) আমলে এরকম হয়নি। অনেক ভাল ছিল। চেয়ারে বসে সুকান্তকে সেসব শুনতে হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অন্য লবির প্রার্থীদের হারানোর অভিযোগ তুললেন কেউ কেউ। এক মহিলা প্রার্থী প্রকাশ্যেই বলেছেন, সর্ষের মধ্যে ভূত রয়েছে। অনেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। যারা প্রার্থী হতে পারেননি, তারা দলের প্রার্থীদের হারাতে নামেন। উত্তর কলকাতার তিনজন প্রার্থী মালব্যকে বলেন, বলেও প্রচারে আনা যায়নি বিরোধী দলনেতাকে। অভিযোগ, তিনি দলের নেতৃত্বের কাছে আগে খবর নিয়েছেন, ওয়ার্ডে জেতার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। তবেই প্রচারে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ভোটের আগে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, লড়াই তো মাত্র ১০ আসনে। সেই কথাও ভোটের ফলে অনেক প্রভাব ফেলেছে। কেউ কেউ টাকার বদলে প্রার্থী করার অভিযোগ এনেছেন।
আরও পড়ুন:আচার্য-বিতর্কে ফের সরব ধনকড়, “সস্তার বিনোদনমূলক মন্তব্য”, পাল্টা কুণাল
সব মিলিয়ে পুরভোটে দলের বিপর্যয় পর্যালোচনার বৈঠকে টার্গেট হয়ে পড়েন শুভেন্দু-সুকান্ত। এমনিতেই দুই নেতাকেই নব্য বিজেপির নেতা বলা হয়। আদি বিজেপির মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিল, এখন আরও বাড়ছে। নব্যদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন আদিরা। ভোটের ফলেও তার ছাপ পড়েছে। ভোটের পরে ক্ষোভ প্রকাশ্যে চলে এসেছে।