সোমনাথ বিশ্বাস
উৎসবের মেজাজে কাঁথিতে পালিত হল “গদ্দার হটাও” এর বর্ষপূর্তি। সোমবার, তৃণমূলের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন প্রাক্তন সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় (Abhijit Mukherjee), মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri), তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), তৃণমূলের যুব নেতা সুপ্রকাশ গিরি (Suprakash Giri)-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিলেন কাঁথি দক্ষিণের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর, বিধায়ক উত্তম বারিক, অর্ধেন্দু মাইতি, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আনোয়ারুদ্দিন, অভিজিৎ দাস-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। চোখে পড়ার মতো ছিল স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ। মেচেদা বাইপাস থেকে কাঁথি কলেজ মাঠ পর্যন্ত সংহতি পদযাত্রায় জনজোয়ার। কাঁথি কলেজ মাঠে কার্যত উৎসবের মেজাজ। আবির উড়েছে, ডিজে বেজেছে, আতস বাজি ফেটেছে। এদিন, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ৩০০ জন।


পদযাত্রা শেষে সভা করেন তৃণমূল (Tmc) নেতৃত্ব। অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, গদ্দার তো অনেক ভালো কথা। এর চেয়েও খারাপ কথা ওকে বলা যায়। কিন্তু বলছি না। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত মহৎ হৃদয়ের মানুষ, সেই জন্য এখনও রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সভা করে করতে পারছেন শুভেন্দু। “উনি জননায়ক থেকে পলাতক নায়ক। আমি আসার পথে দেখলাম ও নিরাপত্তা বেষ্টিত হয়ে চলে যাচ্ছে। কাঁথি পুরসভা নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী অভিজিৎ। বলেন, “আজ যে সমাগম দেখলাম, তাতে পুরভোটে ২১-২১ হবে।”


অখিল গিরি বলেন, “যে সবচেয়ে বেশি অশান্তি করে, তার বাড়ির নাম শান্তিকুঞ্জ। মুর্শিদাবাদ, উত্তরবঙ্গে দলের দায়িত্বে থাকার সময় গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। চোর একটা। প্রমাণ আছে, সব বের হবে।
জানুয়ারি মাসে বিজেপি ধস। ওর আর বিরোধী দলনেতা থাকা হবে না। ভয় পেয়েছে শুভেন্দু। তাই আজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।” ত্রিপুরায় যখন ভোট প্রচারে গিয়েছিল তৃণমূল, তখন তাদের উপর হামলা করে বিজেপি। অথচ ভোটের আগে কলকাতায় এসে বিজেপির নেতারা নির্বিঘ্নে সভা করে গিয়েছেন। কেউ তাদের বাধা দেয়নি। এটাই তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির তফাৎ। একইসঙ্গে শিশির অধিকারীকে আক্রমণ করেন অখিল গিরি। বলেন, “ভেকধারী, ভণ্ড শিশির অধিকারী। পুরসভা ভোট আসতেই মাজারে ছুটছে। এতদিন কোথায় ছিল?”


সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “গদ্দার, বেইমান, মীরজাফর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। মানুষ চোখে সর্ষে ফুল দেখিয়ে দিয়েছে। গদ্দার বিদায়ে কাঁথির পবিত্র মাটি আরও বেশি পবিত্র হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে গদ্দার দলে থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। এখন মানুষে মানুষে বিভাজন করে সনাতন সাজার চেষ্টা করছে। ধান্দাবাজ, চোর। আমাদের সকলকে সংঘবদ্ধ হতে হবে। একসঙ্গে আন্দোলন করতে হবে। গদ্দার টাকা ছড়াচ্ছে। বুথ পাহারা দিতে হবে। এক ইঞ্চি জমি ছাড়া যাবে না”। ‘গদ্দার’কে কাঁথি থেকে উৎখাত করার ডাক দেন সুপ্রকাশ।


এদিন কাঁথিতে তৃণমূলের মহামিছিলে জনপ্লাবন প্রমাণ করে দেয় স্থানীয়দের সমর্থন রয়েছে তৃণমূলের দিকেই। স্বতঃস্ফূর্তভাবে গদ্দার হাটাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন- Atk Mohunbagan: জল্পনার অবসান, বাগানের নতুন কোচ হলেন জুয়ান ফেরান্ডো

































































































































