তামিলনাড়ুর কুন্নুর এলাকায় বুধবার ভেঙে পড়ে সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার। সেই দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ জনের মধ্যে ছিলেন বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) পিএসও দার্জিলিংয়ের(Darjeeling) তাগদা এলাকার বাসিন্দা হাবিলদার সতপাল রাই (Satpal Rai)। তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। তিনি লেখেন, দার্জিলিংয়ের তাগদা এলাকার বাসিন্দা হাবিলদার সতপাল রাইয়ের মৃত্যুতে তিনি গভীর শোকাহত। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে যাঁরা সেই বীর সেনাদের মমতা স্মরণ করেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৫/১১/জিআর এ কর্মরত ছিলেন হাবিলদার সতপাল রাই। কিছুদিন বাদেই ভলেন্টিয়ার রিটারমেন্ট নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। তাঁর বাবা বাহাদুর রাইও সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং ছেলে বিকি রাইও সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। তিনি সেনাবাহিনীর ৫/১১/জিআর ব্যাটেলিয়ানেই কর্মরত। সতপাল রায়ের মৃত্যুর খবর প্রথম পান ছেলে বিকি রাই। তিনি দার্জিলিংয়ের তাগদা এলাকার গ্লেনবার্নের বাড়িতে প্রথম খবর দেন। তারপর থেকেই গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত সতপাল ভাইয়ের বাড়িতে রয়েছে তার স্ত্রী, বাবা, মা ও এক মেয়ে। শুক্রবার, সকালে মৃত সতপাল রাইয়ের কফিন বন্দি দেহ নিয়ে ছেলে বিকি রাই ফিরবেন পাহাড়ে।
তবে স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন স্ত্রী মন্দিরা রাই। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। রাই পরিবারের প্রায় সবাই সেনাবাহিনীতে কর্মরত। মেয়ে মুস্কান রাই জানিয়েছে, হেলিকপ্টারে ওঠার আগে বাবা ও দাদা একসঙ্গেই ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ফোনেও কথা হয়েছিল। খুব শীঘ্রই ভলেন্টিয়ার রিটারমেন্ট নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল বাবার।
অন্যদিকে, দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও মৃত সেনা কর্মীর পরিবারের পাশে থেকে সবরকম সহযোগিতা করছে। এই বিষয়ে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পূর্ণাবালাম জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এছাড়াও তার পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি।
আরও পড়ুন:মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস, সোমবার থেকে রাজ্যে নামবে শীত