ফের সংবাদের শিরোনামে যোগীরাজ্য। প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার নাম করে স্কুলে ডেকে দশম শ্রেণির ১৭ জন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্কুলে গেলে তাঁদের খাবার দেওয়া হয়। ওই খাবারে মাদকজাত দ্রব্য মেশান ছিল। এরপর ছাত্রীরা ওই খাবার খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁদের প্রত্যেকের শ্লীলতাহানি করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। উত্তরপ্রদেশের(Uttarpradesh) মুজফফরনগরে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত শিক্ষক এবং স্কুলের অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে এফআইআর(FIR) দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনায় এখনও কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন:নিজেদের বদলে ফেলুন, নইলে সবকিছু বদলে যাবে, সাংসদদের হুঁশিয়ারি মোদির

ছাত্রীদের অভিযোগ,প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার(Practical Examination) অজুহাত দেখিয়ে পুরকাজি এলাকার ওই ছাত্রীদের রাতে স্কুলে ডেকে পাঠান অভিযুক্ত শিক্ষক। তাঁদের রাতে স্কুলেই থাকতে বলেন তিনি। পরে ছাত্রীদের সকলকে রাতের খাবার দেওয়া হয়। খাবার খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়লে রাতভর তাঁদের উপর শ্লীলতাহানি চালান ওই শিক্ষক। এমনকি হেনস্থা করার পর তাদের হুমকিও দেন ওই শিক্ষক। তাঁদের বলা হয়, বাড়িতে ঘটনাটির কথা বললে তাদের পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলা হবে।তাই ভয় পেয়ে চুপ ছিলেন ছাত্রীরা। তবে দু’জন ছাত্রীর পরিবার সম্প্রতি বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ককে জানানোর পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।এরপরই বিধায়কের হস্তক্ষেপে এফআইআর দায়ের করা হয়। ছাত্রীদের পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি স্থানীয় পুলিশ। শুধু তাই নয়, বিষয়টিকে পাত্তাই দেননি পুলিশ অফিসার।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ছাত্রীরা প্রত্যেকেই দরিদ্র পরিবারের। অভিযুক্ত শিক্ষক এবং স্কুলের অধ্যক্ষ দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

































































































































