আসন্ন কলকাতা পুরসভা ভোটে (KMC Election) এবার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) প্রার্থী বিশিষ্ট আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী (Ayon Chakraborty)। তাঁর সমর্থনে আজ শনিবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে উপেক্ষা করে বর্ণাঢ্য এক প্রচার যাত্রার আয়োজন করে তৃণমূল। যেখানে প্রার্থী অয়ন চক্রবর্তী ছাড়াও ছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী শতাব্দী রায় (Shatabdi Roy), রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh) সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ছিলেন বেঙ্গল সিটিজেন্স ফোরামের সদস্যরাও।

এদিন বর্ণাঢ্য এই মিছিলে এলাকার মহিলাদের যোগদান ছিল চোখে পড়ার মতো। ছিলেন ছাত্র-যুবরাও। হরিনাথ দে রোড থেকে মিছিল শুরু হয়ে তা শেষ হয় রাজাবাজারে গিয়ে। মিছিল শেষে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “আগামী ১৯ ডিসেম্বর উৎসবের মেজাজে আপনারা ভোট দিন। সকাল সকাল ভোট দিন। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তরুণ তুর্কি আইনজীবী চক্রবর্তীকে ভোট দিন।”

এরপরই কুণাল ঘোষ সিপিএম ও কংগ্রেসকে একহাত নেন। তাঁর বক্তব্য, “সিপিএম ও কংগ্রেস জিততে পারবে না। ওদেরকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না। ওদেরকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাত শক্ত করা। ফের কলকাতা পুরবোর্ড তৈরি করবে তৃণমূল। বোরো চেয়ারম্যান তৃণমূলের হবেন। বিধায়ক তৃণমূলের রয়েছেন। সাংসদ তৃণমূলের রয়েছেন। ফলে ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর হলে উন্নয়নের গতি আরও বাড়বে। ২৮ নম্বর ওয়ার্ড মিনি ভারত। এই ওয়ার্ডে সর্বধর্ম সমন্বয়ে মানুষের বসবাস। হাত বাড়ালেই বন্ধু পাবেন। দুয়ারে সরকারের মতো দুয়ারে কাউন্সিলর যাবে আপনার বাড়ি বাড়ি। বাইরে যেতে হবে না, পাড়াতেই কাউন্সিলরের অফিস থাকবে।”

এদিন ২০১০ সালের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ফারজানা আলম প্রসঙ্গ টেনে এনে কুণাল ঘোষ বলেন, “ফারজানা আলমের অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে অয়ন চক্রবর্তী। আইনজীবী ফারজানা আলমের যোগ্য উত্তরসূরি অয়ন। ফারজানা আলমের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল অয়নের। তাই আপনাদের মূল্যবান ভোট অয়নকে দিন।”

সাংসদ-অভিনেত্রী শতাব্দী রায় বলেন, “এলাকার মহিলা থেকে সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ্য করলাম তাতে অয়নের জয় নিশ্চিত। এটা আমার কথা না, এটা এলাকার মানুষের কথা। আমি আগেও আপনাদের ওয়ার্ডে ভোট প্রচারে এসেছি। আবার এলাম। আপনারা কোনওদিন আমাকে খালি হাতে ফেরাননি। আমি জানি, এবারও ফেরাবেন না।”

শতাব্দী আরও বলেন, “আমার রাজ্যের বাইরে অনেক বন্ধু আছেন, যাদের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগ নেই। কিন্তু বিধানসভা ভোটের ফলে তাঁরাও খুশি। মোদি-অমিত শাহদের হারে তাঁরা খুশি। তাই পুরসভাতেও প্রার্থী নয়, দল দেখে ভোট দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দিন। ফারজানা আলমের অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে তৃণমূলকে ভোট দিন। অয়ন নতুন প্রার্থী। নতুনের প্রমাণ করার তাগিদ অনেক বেশি থাকে। ও আপনাদের পাশে থাকবে। আমি গ্যারান্টি দিয়ে গেলাম। অয়নকে ভোট দিয়ে দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করুন।”

প্রার্থী অয়ন চক্রবর্তী বলেন, “আমাকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আর এদিন মানুষের আবেগ দেখলাম, মানুষ যেভাবে আমাকে আশীর্বাদ করলেন, তাতে দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। সকলকে ধন্যবাদ।”

২৮ নম্বর ওয়ার্ডে অয়ন চক্রবর্তীর প্রচারের অন্যতম ট্যাগ লাইন, “হাত বাড়ালেই বন্ধু”। এ প্রসঙ্গে অয়ন চক্রবর্তী বলেন, “আমি ওয়ার্ডের সকল মানুষের বন্ধু হতে চাই। বন্ধু হিসেবে থাকতে চাই। মানুষ যখন ডাকবে তখনই যাতে আমাকে পান ৩৬৫ দিন সেই চেষ্টাই থাকবে আমার।”
আরও পড়ুন:Jawad:শক্তি সঞ্চয় করে ধেয়ে আসছে জাওয়াদ, বাতিল দূরপাল্লার একাধিক ট্রেন












































































































































