BSF-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতায় প্রস্তাব পাশ রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। মঙ্গলবার, ভোটাভুটিতে প্রস্তাব পাশ হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) ১১২ জন বিধায়ক। প্রস্তাবের বিরোধিতায় ভোট দিয়েছেন বিজেপির ৬৩ জন বিধায়ক। ISF বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি (Nousad Siddiki) প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। নিয়ম অনুযায়ী এই পাশ হওয়া প্রস্তাব যাবে কেন্দ্রের কাছে।
বিধানসভায় (West Bengal Assembly) রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক সংখ্যা বেশি। BSF-র এক্তিয়ার বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়ে যাবে সেই বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত ছিল। সেই মতো এদিন ভোট হয়। বিধানসভার ১৮৫ নম্বর রুল অনুযায়ী BSF-র এক্তিয়ার বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রস্তাব আনা হয়। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) BSF-র এক্তিয়ার বাড়ানো ইস্যুটির বিরুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ভোটাভুটির অনুমতি দেন অধ্যক্ষ। ভোটাভুটিতে প্রস্তাব পাশ হয়।
শাসক দলের পক্ষে এই আলোচনায় অংশ নেন পরিষদীয় মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় (Tapas Roy) ও রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর(Humayun Kabir) ও দিনহাটা থেকে সদ্য উপ-নির্বাচনে জয়ী বিধায়ক উদয়ন গুহ। অন্যদিকে, বিরোধী পক্ষের হয়ে প্রস্তাবের বিপক্ষে বলেন বিরোধী দলনেতা, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
এদিন বিধানসভায় এই ইস্যুতে দাপুটে মেজাজে দেখা গেল তাপস রায়কে। নিজের বক্তব্যের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর ক্ষুরধার যুক্তি দিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায় বলতে থাকেন তাপস রায়। এতটাই প্রাসঙ্গিক ছিল বরানগরের তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, যে বিরোধী আসন থেকে একবারের জন্য কেউ তাপসবাবুর যুক্তি খন্ডন করতে পারেননি।
পরে, সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক বলেন, বিএসএফের কাজের পরিসর বৃদ্ধি করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে লঙ্ঘন করেছে কেন্দ্র। বাহিনীকে নিযুক্ত করার ক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে রাজ্যের সীমানা বিএসএফের হাতে দেওয়া হয়েছে।















































































































































