সকাল থেকেই পুলিশ ছেয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। বেলা বাড়তেই সমস্ত গ্রামবাসীরা এসে ভিড় করল মাঠে। মণিপুরে জঙ্গি হামলায় (Manipur Terror Attack) নিহত শহিদ জওয়ান শ্যামল দাসকে শেষ দেখা দেখতে আট থেকে আশি, সকলেই মাঠে জড়ো হয়েছিলেন। মণিপুরে জঙ্গিহামলায় (Manipur Terror Attack) নিহত সেনা জওয়ান শ্যামল দাসের মরদেহ প্রথমে এসে পৌঁছয় পানাগড় বায়ুসেনা ছাউনিতে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি (Kandi) মহকুমার নবগ্রামের বাসিন্দা শ্যামল দাসের মরদেহ গতকাল, রবিবারই তাঁর পৈতৃক ভিটায় পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে রবিবার বায়ুসেনার কোনও বিমানই আকাশে উড়তে পারেনি।
সোমবার বেলা এগারোটা নাগাদ মরদেহ নিয়ে বিশেষ একটি বিমান এসে পৌঁছয় পানাগড়ের (Panagarh) বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। সেখানেই বায়ুসেনা বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শহিদ শ্যামল দাসকে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে গান স্যালুট ও গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর কফিনবন্দি দেহ মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-বিজেপিতে ১ লাখে পুরভোটের টিকিট! সুকান্ত-দিলীপ ঘনিষ্ঠ অডিও সংলাপের দুই নেতাই
শহিদ শ্যামল দাসকে শ্রদ্ধা জানাতে পানাগড়ের বিভিন্ন রাস্তায় স্থানীয় মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বীর সেনানীর কফিনে অনেকেই দূর থেকে ছুঁড়ে দেন ফুল। বহু মানুষকে শহিদের উদ্দেশে চোখের জল ফেলতে দেখা যায়। পরে শ্যামলের কফিনবন্দী দেহ গিয়ে পৌঁছয় মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার কীর্তিপুর গ্রামে। সেখানেই তাঁর বাড়ি। কফিন পৌঁছতেই এলাকাবাসী ভেঙে পড়েন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। শোকার্ত বাড়ির লোকেদের সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় অনেককে। তার আগেই জঙ্গিপুরের সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি খলিলুর রহমান (Khalilur Rahman) শহিদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান। তিনি ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। বাড়ি থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশানে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শেষকৃত্যসম্পন্ন হয়।















































































































































