সাইবার ক্রাইমের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অনেকেই। ফোন করে ওটিপি শুনে টাকা হাতানো থেকে শুরু করে কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে টাকা লোপাট করা- নিত্যদিনই নতুন নতুন পদ্ধতিতে প্রতারিত হচ্ছেন আমজনতা। এখন পুলিশের মাথাব্যাথা কারণ হয়ে উঠেছে সাইবার অপরাধ। এমনকি ভিন রাজ্যে বসেও ফোনের মাধ্যমে অনায়াসেই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। তাই মানুষকে সচেতন করতে এ বার অভিনব প্রচারে নামল রাজ্যের তথ্য-প্রযুক্তি দফতর।
রাজ্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি দফতর একমাসব্যাপী সচেতনতা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছিল। সোমবার জাতীয় সাইবার সুরক্ষা সচেতনতা প্রচারের শেষ দিনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন দফতরের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সচিব রাজীব কুমার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সভায় বিমলকুমার রায় ও প্রফেসর দেবদীপ মুখোপাধ্যায়কে বিশেষ সম্মানও জানানো হয়েছে। সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরি করতে দফতরের পক্ষ থেকে বাংলা, ইংরাজি ও হিন্দিতে ‘সাইবারের সম্মোহন’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই পত্রিকায় গল্পের ছলে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। ছবি এঁকে হাতে কলমে বুঝিয়েও দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকের ফাঁদে’, ‘ব্যাঙ্ক থেকে বলছি’, ‘ওটিপিতে অতি লোভ’, ‘বেচারা বেচারাম’, ‘ক্যুরিয়ার কাহিনী’, ‘ক্রেডিট পয়েন্ট কেলেঙ্কারি’, ‘জুস জ্যাকিংয়ে জেরবার’, ‘বিলেতি বন্ধু, ছদ্মবেশী’, ‘মডেলিংয়ে মামদোবাজি’, ‘প্রজাপতি প্রতারণা’, ‘ফিশের ফোঁস ফোঁস’ সহ বিভিন্ন গল্প রয়েছে এই পত্রিকায়।
দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সচেতনতা বাড়াতে প্রতিদিন ১৬ লক্ষ মানুষের কাছে এসএমএস, সোশ্যাল মিডিয়া, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে বার্তা পাঠানো হয়েছে। ১৭ হাজার ট্রেনিং ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় ৭৩টি প্যান্ডেলে ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম নিয়ে অনস্পট ক্যুইজ প্রতিযোগিতাও আয়োজন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের লক্ষ্য, গল্পের ছলে সাধারণ মানুষকে সাইবার ক্রাইমের বিভিন্ন ধরন সম্পর্কে সচেতন করা। যাতে ভবিষ্যতে তারা সহজে প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেন।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.