দুইদিন পরেই রাজ্য জুড়ে পালিত হবে দীপাবলি, কালীপুজো। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কালীমন্দিরের অনেকের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাস যেমন শ্রীরামপুরের শ্মশান কালী মন্দির। আজ থেকে আনুমানিক 172 বছর আগে শ্রীরামপুরের বল্লভপুর শ্মশান ঘাটের পাশে শ্মশান কালীপুজো শুরু করেন পণ্ডিত আদিত্যনাথ ভট্টাচার্য (Adityanath Bhattacharya)।তারপর থেকে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে শ্রীরামপুর। তারই মাঝে মা শ্মশান কালীর আরাধনা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে বল্লভপুর শ্মশানকালী অছি পরিষদের সম্পাদক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, কালীপুজো উপলক্ষ্যে প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গের দূরদূরান্ত থেকে আসেন ভক্তরা। শুধুমাত্র কালীপুজোর দিন নয়, একানে নিত্য পুজো হয়। গত দু’বছর ধরে ভক্তদের জন্য করোনাকালে ভোগ-অঞ্জলি বন্ধ।
তবে, ভার্চুয়ালি অঞ্জলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদক প্রকাশ চক্রবর্তী জানান, “প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সম্পূর্ণ করোনা বিধি বজায় রেখে গত দু’বছর ধরে আমাদের পুজোর আয়োজন করছি। প্রতিমা দর্শন করার আগে তিনটে ব্যারিকেড আমরা রাখছি। দশজন করে ভক্তকে আমরা ব্যারিকেডের মধ্যে প্রবেশ করব। সেখান থেকে দর্শন করে করতে পারবেন ভক্তরা।”