মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং ধসে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। চারদিন একটানা বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে সেতু, ধসের কারণে বিছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। সবথেকে বিধ্বস্ত নৈনিতাল। বিচ্ছিন্ন আলমোরা, রানিখেত। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কমপক্ষে ৪৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিখোঁজ বহু।শয়ে শয়ে পর্যটক আটকে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই আকাশপথে পরিস্থিতি পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাংঘাতিক ক্ষতি হয়েছে, যা স্বাভাবিক হতে অনেকদিন সময় লাগবে।

আরও পড়ুন:পুজো মণ্ডপে কে রেখেছিল কোরান? পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ
গতকালও নৈনিতালে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টি এবং ধসে শহরে প্রবেশের প্রধান তিনটি রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা আজ একটি রাস্তা খুলেছেন, কিন্তু তাতে গাড়ি চলাচল শুরু হতে অনেক সময় লাগবে। ভেসে গিয়েছে নৈনি হ্রদ। ওই জলাশয় লাগোয়া মল রোড প্লাবিত। নৈনিদেবী মন্দির চত্বর এখনও জলের নীচে। প্রায় দু’দিন বাদে বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। তবে একাধিক জায়গাতেই এখনও নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতেও এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু সম্ভবপর হয়নি। তবে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, এনডিআরএফ, সেনাবাহিনীর মিলিত প্রচেষ্টায় রাস্তা অনেকটাই সাফ করা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, কুমায়ুনে ভারী বৃষ্টির জেরে একটি ট্রেকিং দলের ১১ সদস্য সহ মোট ১৬ জন নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজাখুঁজির পর তাদের খোঁজ মেলে, আজ আকাশপথে এনডিআরএফ বাহিনী তাদের উদ্ধার করে আনবে। অন্য একটি দুর্ঘটনায় ১৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন।
































































































































