মানুষের থেকে ক্রমে দূরে সরে যেতে যেতে এমন একটি জনবিচ্ছিন্ন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ইতিহাস রচনা করেছে সিপিআইএম তথা বামেরা। এ রাজ্যকে ৩৪ বছর শাসন করা বামেরা একুশের ভোটে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বাংলার বুক থেকে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় কোনও সদস্য নেই বামেদের। শুধু তাই নয়, একের পর এক প্রার্থীর হারের বহর ইভিএম-এ “নোটা” বা “নির্দল”দেরও লজ্জায় ফেলে দেবে। প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি প্রার্থীর জামানত গিয়েছে। ভোট শতাংশ তিন শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।
ভোটের ফলাফল দলের সংগঠনের যখন এই করুণ হাল, তখনই কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরিয়েছে বামেদের মধ্যে। পুজোর দিনগুলিতে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে প্রায় ১২০০টি বুক স্টল করেছিল সিপিএম তথা বামেরা। বামপন্থী ও সমকালীন রাজনীতি এবং মার্কসীয় সাহিত্যের নানা বই বিক্রি হয়েছে এই স্টলগুলি থেকে। এবং ব্যাপক বিক্রিতে সাড়া মিলেছে। দলীয় সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সব স্টল মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকার উপর বই বিক্রি হয়েছে এবার পুজোয়। তবে পূর্ণাঙ্গ হিসেব এখনও হাতে আসেনি রাজ্য কমিটির। আসন্ন কালীপুজো ও জগদ্বাত্রী পুজো উপলক্ষেও কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় স্টল দেওয়া হয়। তারপর পূর্ণাঙ্গ হিসাব পেশ করা হয় পার্টির অন্দরে।
প্রতিবারই পুজোয় বুক স্টল করার জন্য সিপিএমের বিভিন্ন স্তরের কমিটিকে বইয়ের জোগান দেয় পার্টির প্রকাশনা সংস্থা ন্যাশনাল বুক এজেন্সি বা এনবিএ। জানা গিয়েছে, স্টলগুলিতে লেখক হিসেবে এবারও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বইগুলির বিক্রি ছিল সবচেয়ে বেশি। টাকার অঙ্কে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ১০ লক্ষ টাকার উপর বই বিক্রি করে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। কলকাতার স্টলগুলির মধ্যে যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন স্টলে বিক্রির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে রাজ্যে বিক্রির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।



































































































































