মাদক-কাণ্ডে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র হেফাজত থেকে মুক্তি পাননি শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান। উল্টে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি-র হেফাজতেই থাকতে হবে আরিয়ান-সহ আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচাকে বলে নির্দেশ দেয় আদালত। সোমবার রাতেই আরবাজকে নিয়ে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় এনসিবি। আরিয়ান ও আরবাজকে জেরা করে মিলতে পারে আরও গোপন তথ্যের হদিশ মিলবে বলে মনে করছে এনসিবি।
আরও পড়ুন:মাত্র সাত ঘণ্টার বিভ্রাট! ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খোয়ালেন জুকেরবার্গ
সোমবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে কোথায় কোথায় নেশার ঠেক বসত, সেই বিষয়ে তথ্য নেওয়া হয় আরবাজের কাছ থেকে। ইতিমধ্যেই মাদক-যোগে আরও ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাঁদের মধ্যে এক জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মাদক। সূত্রের খবর, আরবাজের পর এ বার আরিয়ানকে নিয়ে চলতে পারে তল্লাশি। মঙ্গলবার রাতে শাহরুখ-পুত্রকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাবে এনসিবি। এমনকি তল্লাশি হতে পারে শাহরুখ খানের বাংলো মন্নতেও। আইনি মতেই যেকোনও অভিযুক্তের বাড়ি তল্লাশি চালাতে পারে এনসিবি। সেই সূত্রেই আজ মন্নতে হানা দিতে পারে এনসিবি কর্তারা। তবে আরিয়ানকে নিয়ে এনসিবি-র তদন্তের অভিমুখ কী হবে, তা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার তরফে কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসচ্ছে এনসিবি-র কর্তাদের হাতে। ইতিমধ্যেই তাঁরা জানতে পেরেছেন, কর্ডিলিয়া প্রমোদতরণীতে শনিবার রাতে যে মাদক আনা হয়েছিল, তা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে কেনা হয় বিটকয়েনের মাধ্যমে। পাশাপাশি, আরিয়ান এবং তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মাদকের টাকা কে বা কারা মিটিয়েছিল, তারও যোগসূত্র খুঁজজেন তদন্তকারীরা। শনিবার রাতে এনসিবি-র তল্লাশিতে, আরিয়ানের লেন্স রাখার বাক্স থেকে উদ্ধার হয় মাদক। এ ছাড়া তাঁর বান্ধবীর স্যানিটারি প্যাড এবং অন্তর্বাস থেকেও উদ্ধার হয় মাদক। আরিয়ান ও আরবাজকে জেরা করে মিলতে পারে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের হদিশ এমনটাই মনে করছে এনসিবি।


































































































































