আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভায় উপনির্বাচন। এর আগে আজ শুক্রবার ভবানীপুরে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করত ভোটের সময়। এজেন্সি দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে ভোট করেছে বিজেপি। ৩৪ বছর সিপিএম শাসন করেছে, কটা সিবিআই তলব করেছে? যে দল সবথেকে সৎ, সেই দলের নেতাদের বারবার ডাকা হচ্ছে। আমাদের ফোন পেগাসাসের মাধ্যমে ট্যাপ করা হয়েছে। এরা করতে পারে না এমন কোনও কাজ নেই।”তিনি আরও বলেন, “অসময়ে বাধ্য হয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে। আমায় ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হতে হবে, তাই ভোট হচ্ছে। এখন রাজ্যে লোডশেডিং হয় না। কিন্তু বৃষ্টিতে জল জমলে বিদ্যুতের পোস্টে হাত দেবেন না।”
এরই পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, “রাজ্যের মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের সুবিধা পাচ্ছেন। লক্ষ্ণীর ভাণ্ডারের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের মেয়েরা। দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু হয়ে গেছে।”
পাশাপাশি এদিন ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেগাসাস ইস্যুতে সুর চড়ান। তিনি বলেন, ‘পেগাসাস ডেঞ্জারাস!’ কালীঘাটের বাড়িতে পিকে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি বৈঠকের কথা তুলে এদিন ফের একবার মমতা বলেন, ‘আমি অভিষেক-পিকে কালীঘাটের অফিসে বসে কথা বলছি। সেটাও BJP ফোনে দেখছে। সব পেগ্যাসাস। ফোন বন্ধ করে রাখলেও ক্যামেরা কিন্তু চালু থাকছে। সবার ফোনে পেগ্যাসাস ঢুকিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- মারণ ক্ষমতা হারিয়ে সাধারণ সর্দি-কাশির ভাইরাস হয়ে উঠবে করোনা, আশ্বস্ত করলেন বিজ্ঞানীরা
গতকালের বিজেপির মিছিল প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু কাল আমি যখন নবান্নে ছিলাম, তখন একজন রোগে ভুগে মৃতের দেহ নিয়ে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে মিছিল করে নিয়ে যাবে। কত বড় ক্ষমতা বুঝুন!’
অসমে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ নিয়েও তিনি বলেন, ‘অসমে কাল কী হল দেখুন। মৃতদেহের উপরে গিয়ে লাফাচ্ছে। এটা কোন মানবিকতা। তার পরেও বাংলার মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে! আমাদের ভয়ে ত্রিপুরাতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ‘
বাংলায় ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ মানুষের টিকার ডোজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৪ কোটি টিকা দরকার। কারণ শিশুদেরও দিতে হবে। আগে আমরা নিজেরা কিনতে পারতাম। কিন্তু, এখন কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। তৃতীয় ঢেউ এলে আমরা মোকাবিলা করার জন্য তৈরি।’ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমার আগামী টার্গেট হল বাংলাকে বাণিজ্যিক ডেস্টিনেশন হিসেবে গড়ে তোলা। গতবছর করোনার জন্য গ্লোবাল বিজনেস সামিট করা সম্ভব হয়নি। এবছর কোভিড বিধি মেনে তা হবে। অনেক শিল্পপতি এখানে বিনিয়োগ করতে চাইছেন। আমাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছেন। ‘


































































































































