দরকার নেই আলাদা অ্যাকাউন্টের, এবার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই পাওয়া যাবে যক্ষ্মা রোগীর মাসিক ভাতা!

0
3

এবার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারেই পাওয়া যাবে যক্ষ্মারোগীর মাসিক ভাতা। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। কেবলমাত্র নবান্নের গ্রিন সিগন্যাল-এর জন্যই অপেক্ষা। নবান্ন সবুজ সংকেত দিলেই শুরু হবে কর্মসূচি।

আরও পড়ুন: হলফনামা দিতে পারল না কেন্দ্র, পিছলো পেগাসাস মামলার শুনানি

স্বাস্থ্য ভবনের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ সেলের অভিমত, পুরনো যক্ষ্মা রোগীদের আগেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টেই চিকিৎসার খরচ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যে সব নতুন রোগী চিহ্নিত হয়েছেন তাঁদেরও চিকিৎসাভাতা দিতে হবে। স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিকের কথায়, “যক্ষ্মা রোগীকে চিকিৎসা ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়ায় রোগীর নামে কোনও অ্যাকাউন্ট না থাকা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রোগীর নাম জুড়ে দিলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ উদ্যোগে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ করা হবে হবে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে। সেই উদ্দেশ্যেই সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসজুড়ে পশ্চিমবঙ্গে নতুন যক্ষ্মা রোগী খুঁজে বের করে শুরু হবে চিকিৎসা। এই কাজে যুক্ত করা রয়েছেন আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। এক্ষেত্রে বেসরকারি টিবি ক্লিনিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে। একই সঙ্গে যক্ষ্মারোগীদের মাসিক ভাতাও পরিশোধ করা হবে।

আরও পড়ুন: বিরোধীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে, ভবানীপুরে মমতার সমর্থনে আসরে নেমেই হুঙ্কার শোভনদেবের

স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে যক্ষ্মা রোগীর মাসিক ভাতা বাবদ সরকারের কোষাগার থেকে ২৪ কোটি ২১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে খরচ হয়েছে ১৬ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা।

advt 19