সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক পদ থেকে সরছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। দলের রীতি অনুসারে তাঁকে পদ ছাড়তে হচ্ছে। আর সূর্যকান্ত মিশ্রর পরিবর্তে কে হবেন সিপিআইএমের পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক, তা নিয়ে আলিমুদ্দিনের অন্দরে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে। সিপিআইএম সূত্রে খবর, রাজ্য সম্পাদকের তালিকায় প্রাথমিক ভাবে ৪ জনের নাম উঠে আসছে। তাঁরা হলেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, শমীক লাহিড়ী, কল্লোল মজুমদার এবং আভাস রায়চৌধুরি। এই চারজনের মধ্যে থেকেই চূড়ান্ত করা রাজ্য সম্পাদকের নাম।
আরও পড়ুন:উপনির্বাচন হচ্ছেই, শুক্রবারই বৈঠকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ!
এঁদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। সিপিএমের তাত্ত্বিক নেতা হিসেবেই পরিচিত শ্রীদীপবাবু। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। প্রচারের বাইরে থেকে কাজ করতে ভালোবাসেন। দলের অভ্যন্তরে তাঁর সেই অর্থে কোনও “শত্রু” নেই। অর্থাৎ, সব লবির সঙ্গেই তিনি মানিয়ে চলেন।
এরপর উঠে আসছে শমীক লাহিড়ীর নাম। বর্তমানে তিনি সিপিআইএমের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা সম্পাদক। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। অতীতে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ছিলেন। সুবক্তা। সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেয়ে সংগঠনে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন তিনি।
পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক হিসেবে শোনা যাচ্ছে কল্লোল মজুমদারের নাম। বর্তমানে তিনি দলের কলকাতা জেলা সম্পাদক। দলের অন্দরে স্পষ্ট কথা বলেন। তাই অনেকেরই বিরাগভাজন তিনি। একটা সময় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁর কলকাতা জেলা সম্পাদক হওয়ার সময়ও অনেকে আপত্তি তুলেছিল। শেষপর্যন্ত ভোটাভুটিতে গিয়ে জেলা সম্পাদকের পদ পান কল্লোল মজুমদার। ফলে তাঁর রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পথেও যে বিস্তর কাঁটা থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।
নাম উঠে আসছে অপেক্ষাকৃত নবীন আভাস আভাস রায়চৌধুরির। আভাস বর্ধমানের নেতা। এখনও সিপিআইএমের ”বর্ধমান লবি” স্ট্রং। বিমান বসু রাজ্য সম্পাদকের পদ ছাড়ার পর একটা সময় তাঁর জায়গায় বর্ধমানের নেতা মদন ঘোষের নাম জোরালো ভাবে উঠে এসেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সূর্যকান্ত মিশ্র রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পান। আভাস এর আগে দলের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য নেতা ছিলেন। এখন তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। ২০১১, ‘১৬ এবং ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে লড়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। তবে জিততে কোনওবারই জিততে পারেননি। কঙ্কাল কাণ্ডে নাম জড়ানোয় দলের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিআইএম নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন এই আভাস রায়চৌধুরি। তাঁর শাস্তির পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন। এছাড়া আভাস দলের নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের কাছে প্রবল জনপ্রিয়।































































































































