কলকাতার পুজো মানেই রকমারি ব্যাপার। রাজ্য-দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যা বিদেশেও সমাদৃত। অন্য বছরগুলিতে এতদিনে বড় বড় বারোয়ারি পুজোগুলি জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দেয়। থিমের পুজোর মণ্ডপ নির্মাণও শুরু হয়ে যায়। তারও আগে রথের সময় থেকে জাঁকজমক করে হয় খুঁটি পুজো।
যদিও করোনা মহামারি আবহে এবার উত্সবের টানে ভাটা পড়েছে। এই বছর সেই অর্থে সাড়ম্বরে পালিত হবে না কলকাতার দুর্গাপুজো। কারণ, করোনা ভাইরাসের জেরে সাধারণ মানুষ এখনও ঘরবন্দি হয়েছেন, তেমনই পুজো উদ্যোক্তারাও কমিয়েছে বাজেট।
কিন্তু বাঙালির সেরা উত্সব বলে কথা, তাই ভাইরাসের দাপট যতই থাকুক, জৌলুস কমলেও বাঙালির দুর্গাপুজোকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।
সোমবার কলকাতা পুরসভার ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ স্পোটিং ক্লাবে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত খুঁটি পূজার মাধ্যমে দুর্গা পূজার মণ্ডপের শুভ সূচনা করা হলো।
উপস্থিত ছিলেন রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশীষ কুমার , ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক সভাপতি প্রবীর মুখার্জি এবং অঞ্চলের পল্লীবাসি বৃন্দ।
খুঁটি পুজোর ধারণাটি আসলে এসেছে প্রায় শত বছর পুরনো এক রীতি থেকে। আগে এত ক্লাব, থিম, প্রতিযোগিতার পিছনে ছোটাছুটি ছিল না। পুজো মানেই ছিল বনেদি বাড়ির সাবেকি একচালা প্রতিমা। আর সেই সময় মূলত বাড়ির ঠাকুর দালানে গড়া হত প্রতিমা।
আরও পড়ুন- ভারতের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া হবে, জানালেন শীর্ষ তালিবান নেতা
তখন থেকেই অনেকে রথযাত্রার শুভ দিনে, মাটির প্রতিমার কাঠের ফ্রেমকে পুজো করা হত। যেটি ‘কাঠামো পুজো’ (Kathamo Puja) বলেই পরিচিত। এরপর একটু একটু করে গড়ে উঠত দুর্গা প্রতিমা। এখন ট্রেন্ড খুঁটি পুজো।
































































































































