এবার ভারতীয় ডাক বিভাগের স্বীকৃতি পেল সীতাভোগ-মিহিদানা । শুক্রবার বর্ধমানের জেলার মুখ্য ডাকঘরে সীতাভোগ-মিহিদানা সম্বলিত স্পেশাল খামের উদ্বোধন করল ডাক বিভাগ। ফলে এবার থেকে দেশজুড়ে সমস্ত পোস্ট অফিসে এই স্পেশাল খাম পাওয়া যাবে।
ইতিমধ্যে ২০১৭ সালে মিহিদানা ও সীতাভোগ জি আই ট্যাগ পেয়েছে। এবার মানিকজোড় বিখ্যাত বাঙালি মিষ্টিকে স্বীকৃতি দিয়ে ভারতীয় ডাকবিভাগ বিশেষ খাম তৈরি করায় সহজেই তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছেও পরিচিত হয়ে উঠবে ।
ইতিহাস বলছে, ১৯০৫ সালে বড়লাট লর্ড কার্জন বর্ধমানে এসেছিলেন। তাঁকে মধ্যাহ্নভোজে বিশেষ মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য কারিগরকে নির্দেশ দেন বর্ধমানের মহারাজ। লর্ড কার্জনের কাছে উপস্থাপিত করা হয়েছিল সীতাভোগ এবং মিহিদানা। মিষ্টির স্বাদ গ্রহণ করে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন বড়লাট। সেদিন থেকেই বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানার জয়যাত্রা শুরু। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই, ভিন রাজ্যেও নিয়মিত পাড়ি দিচ্ছে এই দুই মিষ্টি।বর্ধমানের সুস্বাদু সীতাভোগ ও মিহিদানার সুখ্যাতি বিশ্বজোড়া।
শুক্রবার বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানার ছবি ও তথ্য সম্বলিত বিশেষ খাম বা স্পেশ্যাল কভার চালু করা হল। সারা দেশের সব পোস্ট অফিসে ২০ টাকা মূল্যের এই খাম পাওয়া যাবে।
বর্ধমান মুখ্য ডাকঘরে এক অনুষ্ঠানে এই বিশেষ খামের উদ্বোধন করেন সাউথ বেঙ্গল রিজিওনের পোস্ট মাস্টার জেনারেল শশী সালিনী কুজুর। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডাক বিভাগের বর্ধমান ডিভিশনের সুপাররিনটেন্ডেন্ট সৈয়দ ফ্রজ হায়দার নবি, বর্ধমানের হেড পোস্ট মাস্টার মধুসূদন রায় ও বর্ধমান সীতাভোগ অ্যান্ড মিহিদানা ট্রেডাস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রমোদ সিং। ডাক বিভাগের এই উদ্যোগে স্বভাবতই খুশি বর্ধমানের মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকরা।
আরও পড়ুন – জন ধন অ্যাকাউন্টের গ্রাহকরা এবার থেকে জীবন বিমা ও দুর্ঘটনা বিমার টাকাও পাবেন
দক্ষিণ বঙ্গীয় শাখার পোস্টমাস্টার জেনারেল শশী সালিনী কুজুর বলেন, মিহিদানা-সীতাভোগ নামের সঙ্গে বর্ধমানের নাম জড়িয়ে রয়েছে। এই মিষ্টির নাম রাজ্যের মানুষ জানে। ভারতীয় ডাক বিভাগ এবার এই দুটি মিষ্টিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর ফলে এর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে । কারণ সরকারিভাবে ডাকবিভাগের মাধ্যমে সীতাভোগ মিহিদানাকে ভারতের মানচিত্রে তুলে ধরা হল। দেশজুড়ে আরও পরিচিতি বাড়বে বর্ধমানের এই ইতিহাস প্রসিদ্ধ যমজ মিষ্টির।