ফের দেশের সেরা বাংলার ছাত্র সংগঠন। এবার সারা ভারতে টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে সেরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আজ, ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সকাল থেকেই ট্রেন্ডিংয়ে সবকিছুকে ছাপিয়ে শীর্ষে #TMCPFoundationDay . যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই হ্যাশট্যাগ বহু ছাত্রছাত্রী ব্যবহার করেছেন। যা দেখে উপস্থিত প্রাক্তন নেতারা জানান, তাঁদের গর্ব হচ্ছে এটা ভেবে, যে নতুন প্রজন্ম নতুন প্রযুক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলেছে।
অন্যদিকে, প্রথা মেনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এদিন ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ও বর্তমান প্রজন্মের নেতারা।
ছিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অশোক দেব, তাপস রায়, অশোক রুদ্র, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য প্রমুখ।
আরও পড়ুন:TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কী বললেন তিনি
এদিন মেয়ো রোডে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠান থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কিছুটা নস্টালজিক ও আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, “নিজের জন্মদিন ভুলে গেলেও কোনদিন ২৮ আগষ্ট দিনটি ভুলি না। এটাই যেন আমারও জন্মদিন। আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়েরও রাজনৈতিক জীবনের উত্থান কলেজ রাজনীতি থেকেই। আমিও কোনওদিন জনপ্রতিনিধি হওয়ার কথা ভাবিনি। আমরা ভেবেছিলাম, সমাবেশে কত জমায়েত করতে পারবো। স্কুল এবং কলেজের গেটে সব সময় তৃণমূলের আদর্শকে বাঁচিতে রেখেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।”
তৃণমূল মহাসচিব ছাত্র সমাজের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, “রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শিক্ষার উৎকৃষ্টতা বেড়েছে। শিক্ষার বিকাশ ও উৎকর্ষ বৃদ্ধি হয়েছে। উচ্চশিক্ষা থেকে বিদ্যালয় শিক্ষা- সহ সবস্তরের শিক্ষা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
ত্রিপুরা প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ত্রিপুরায় যারা মার খেলো আর যারা মার দিল। তারা উভয়েই ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি। কিন্তু যারা মারলো তারা নিজেদের ছাত্র সত্ত্বা ভুলে গিয়ে বিজেপির মদতে গণতন্ত্র-এর কণ্ঠ রোধ করলো। সুতরাং, একটা কথা পরিষ্কার, ত্রিপুরায় পরিবর্তনের সময় চলে এসেছে। আমরা চাই ত্রিপুরায় পরিবর্তন আসুক। এবং আমরা বিশ্বাস করি, ত্রিপুরাতেও পরিবর্তন হবে”