কেমন আছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল (TMC)নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে (Sadhan Pandey)। বেশ সংকটজনক (Critical) অবস্থায় বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে সাধনবাবুর অনুগামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রায় একসপ্তাহ হয়ে গেল তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে জেনারেল কেবিনে দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও তিনি স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে পারছেন বলেই হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে খবর। ইশারায় চিকিৎসক ও পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলছেন।
সাধন পাণ্ডের কন্যা শ্রেয়া পাণ্ডে (Shreya Pandey) জানিয়েছেন, “আমার বাবা ফাইটার। জীবনে অনেক যুদ্ধ করেছেন। জীবন যুদ্ধেও তিনি জয়লাভ করবেন। প্রায় ৮দিন হয়ে গেল, বাবাকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তবে আশঙ্কামুক্ত।”
খাওয়া-দাওয়া স্বাভাবিক করছেন সাধনবাবু। চিকেন স্টু দেওয়া হচ্ছে। হালকা মাছের ঝোল খেয়েছেন। পছন্দের মিষ্টির দোকান থেকে তাঁর প্রিয় দই চিঁড়েও দেওয়া হচ্ছে সাধন পাণ্ডেকে। সবমিলিয়ে চিকিৎসার সদর্থক সাড়া দিচ্ছেন মন্ত্রী।
তিনি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। দীর্ঘ অসুস্থতার জন্য তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সামলাচ্ছেন সাধনবাবুর কন্যা শ্রেয়া পান্ডে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজে যেখানে সাধনবাবুর আমন্ত্রিত থাকার কথা, সেই জায়গাগুলিতে সময়-সুযোগ বুঝে যাচ্ছেন শ্রেয়া। এছাড়া বাবার অফিসও যতটা সম্ভব সামলাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন:ত্রিপুরায় অভিষেক সহ ৬ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে FIR, ‘ভয় পেয়েছে বিজেপি’ পাল্টা কুণাল
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই রাতে অসুস্থ হয়ে বাইপাস সংলগ্ন অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার পরদিন থেকেই ভেন্টিলেশনে দিতে হয় তাঁকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মধ্যেই তিনি জ্ঞান হারান। এমনকী, রক্তচাপও অনেকেই নেমে গিয়েছিল সাধন পাণ্ডের। সিপিআর দিয়ে হৃদযন্ত্রকে সচল করেন চিকিত্সকরা। আইটিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয় মানিকতলার তৃণমূল বিধায়ককে। সাধন পাণ্ডের সিটি থোরাক্স করা হয়। যদিও তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভই আসে।














































































































































