বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথাও রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালেই ঝাড়গ্রাম থেকে ঘাটালের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী কপ্টারের জন্য ঘাটালের বঙ্গবাসী ক্লাব ময়দানে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে সড়কপথে বন্যা পরিদর্শন করতে পারেন তিনি। প্রয়োজনে নৌকোয় বানভাসি এলাকাতে গিয়ে বলতে পারেন দুর্গতদের সঙ্গে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক নম্বর চাতালে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, আরগোড়া-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বানভাসি পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে। এমনকি ঘাটাল বসন্তকুমারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ত্রাণশিবির পরিদর্শন করতে পারেন। সেখানে দুর্গতদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দিতে পারেন তিনি। তাই আগে থেকে সেখানে শুকনো খাবার-সহ নানান ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সোমবার রাতেই রাজধানীতে অভিষেক, মঙ্গলবার থেকে অধিবেশনে
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে তৎপর জেলা পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা সকলেই। বানভাসি এলাকার তথ্য-পরিসংখ্যান নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে মহকুমা প্রশাসনও। আজ মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে উপস্থিত থাকতে পারেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক মন্ত্রী।
গত কয়েকদিন ধরে ঘাটালে বন্যার জল নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও এনডিআরএফ এবং ঘাটাল পুলিশ দিনরাত এক করে পরিষেবা দিচ্ছেন। সম্প্রতি ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে গিয়ে অভিনেতা তথা সাংসদ দেব জানান, যতদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী না হবেন, ততদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কার্যকর হবে না। সেই মাস্টার প্ল্যানের বিষয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন সেটাই এখন দেখার বিষয়। স্থানীয় চন্দন মান্না বলেন, ‘তৃণমূল সুপ্রিমো ঘাটালবাসীকে কী বার্তা দেন, তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছি।’সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে আশায় বুক বাঁধছেন ঘাটালবাসী।



































































































































