কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক রদবদলে (cabinet reshuffle) পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন লোকজনশক্তি পার্টির (LJP) পশুপতি কুমার পারস। সম্পর্কে যিনি প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই এবং চিরাগ পাসোয়ানের কাকা। আর পশুপতি মন্ত্রী হতেই প্রবল ক্ষুব্ধ চিরাগ, যিনি ভেবেছিলেন বাবার মৃত্যুর পর কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পাবেন তিনিই। অথচ অবস্থার ফেরে তিনি নিজেই দল থেকে বহিষ্কৃত। লোকসভায় পশুপতির নেতৃত্বে এলজেপির পাঁচ সাংসদ চিরাগকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্পিকারকে জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে একদিকে দল থেকে বহিষ্কার এবং অন্যদিকে মন্ত্রিত্বের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পরে চিরাগ যাবতীয় অসন্তোষ উগরেছেন কাকা পশুপতি ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে। চিরাগের কথায়, তাঁকে কোণঠাসা করতে গিয়ে নীতীশের ষড়যন্ত্রে বঞ্চিত হয়েছেন জেডিইউ সাংসদরাই। জেডিইউয়ের প্রাপ্য ভাগ কমিয়ে মন্ত্রী করা হয়েছে কাকা পশুপতিকে। এর ফল ভুগতে হবে নীতীশকে।
বিহারের সমস্তিপুরে নিজের অনুগামীদের নিয়ে আশীর্বাদ যাত্রায় চিরাগ পাসোয়ান (chirag paswan) বলেন, আমি কোনওদিন মন্ত্রিত্ব পেতে ব্যাকুল হইনি। কিন্তু আমি এখনও জানি না আমার কাকা পশুপতি কুমার পারস কোন দলের কোটায় মন্ত্রিসভায় ঢুকে পড়লেন। অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে নীতীশ কুমার তাঁর দলের নেতাদের, বিশেষ করে রাজীব রঞ্জন ওরফে ললন সিংয়ের সঙ্গে বঞ্চনা করেছেন।
চিরাগ বলেন, তাঁর দল এলজেপিকে ভাঙার নেপথ্যের কারিগর ললন সিং নিজেই মন্ত্রিসভায় উপেক্ষিত হয়েছেন, যা জেডিইউ-এর ভাঙন ডেকে আনবে। জেডিইউতে ভাঙন ধরানোর আশায় চিরাগ বলেন, মন্ত্রিত্বের দাবিদার ললন সিংয়ের থেকে মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে জেডিইউ-এর অন্দরে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে যা থেকে দলে ভাঙন ধরতে পারে।
কাকা পশুপতি কুমারকে যারা সমর্থন করেছিলেন তাঁদের এবার ভুল ভাঙবে।
































































































































