আবার একটি প্রতিশ্রুতি পালন। স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। বুধবার, নবান্নে এই যুগান্তকারী প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের গর্ব, দেশের ভবিষ্যত। তাঁদের স্বপ্ন যাতে বাস্তবায়িত হয়, তার জন্য এই প্রকল্প”।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী আছে প্রকল্পে:
• ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা
• স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের গ্যারেন্টার হবে রাজ্য সরকার
• দশম শ্রেণির পর থেকে যেকোনো ধরনের উচ্চশিক্ষা, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষার জন্য স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে ঋণ দেওয়া হবে
• 40 বছর পর্যন্ত এই ঋণ পাওয়া যাবে
• ঋণ শোধ করে দেওয়ার জন্য সময়সীমা 15 বছর
• একসঙ্গে বা প্রয়োজন মতো সর্বাধিক 10 লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা
• কোর্স ফি, টিউশন ফি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ কেনার জন্যেও এই কার্ডে ঋণ দেওয়া হবে
তবে এ বিষয়ে যাতে কোনো প্রতারণা চক্র গড়ে না ওঠে সে জন্য সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীরা যাতে কোনওরকম হেনস্থার শিকার না হয়, তা দেখতে হবে। “প্রতারকরা নানাভাবে জালিয়াতির চেষ্টা করে। কারও ফাঁদে পড়বেন না, সরকারি ওয়েবসাইটে আবেদন করবেন। আমরা চাই, আমরা যে সুযোগ পাইনি, তা যেন এখনকার ছাত্রছাত্রীরা পায়।”
*স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে?*
স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের জন্য পোর্টাল খোলা হয়েছে। এছাড়া এগিয়ে বাংলা বা উচ্চ শিক্ষা দফতরের পোর্টালে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করা যাবে। পাশাপাশি, ১৮০০১০২৮০১৪ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করা যাবে।
রাজ্য সরকারি স্কুলে অষ্টমশ্রেণি পর্যন্ত পোশাক, জুতো, ব্যাগ দেওয়া হয়। দেওয়া হয় কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। অনলাইনে পড়ার জন্য ট্যাব দেওয়া হয়েছে। 2020 সালে দ্বাদশ শ্রেণীর আট লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য 10000 টাকা করে দেওয়া হয়েছে। 2021-এ 894763 পড়ুয়াকে ট্যাব কেনার জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। কোভিডের কারণে কিছুদিন সবুজ সাথীর সাইকেল দেওয়া বন্ধ ছিল বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আবার তা চালু হবে। ২০২০-র নবম শ্রেণির ৩ লক্ষ, ২০২১-র নবমের ৯ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে নভেম্বরের মধ্যে সবুজ সাথীর ১২ লক্ষ সাইকেল দেবে রাজ্য।
এবার চালু হল যে সকল প্রকল্প স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। সারা বিশ্বে এত বড় প্রকল্প এই প্রথম। এতে রাজ্যের মেধাবী পড়ুয়ারা পড়ার সুযোগ পাবেন বলে আশাবাদী মমতা।










































































































































