সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে সেনাবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় অন্ততপক্ষে ১৫ জন সেনা সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। গুরুতর জখম আরও বেশ কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সেনা আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত হামলার দায় কোনও জঙ্গি সংগঠন স্বীকার করেনি। তবে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার সঙ্গে জড়িত আল শাবাবের জঙ্গিরা হামলার পিছনে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
গত দেড় বছরের মধ্যে এটাই ভয়াবহ হামলা বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনা আধিকারিক মোহাম্মেদ আদান।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর জেনারেল ধেগোবাদান সেনা প্রশিক্ষণ শিবিরে আত্মঘাতী বোমার হামলা চালানো হয়। ওই শিবিরে সেনাবাহিনীতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণের সময়ে ছদ্মবেশে থাকা বেশ কয়েকজন আত্মঘাতী হামলা চালায়। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ১৫ সেনার দেহ। অধিকাংশই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন । প্রাণভয়ে অনেককে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায় । বিস্ফোরণের পরেই আহত ও নিহত সেনা সদস্যদের দেহ উদ্ধার করে রাজধানীর মদিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
গত কয়েক মাস ধরেই সোমালিয়ায় লাগাতার আত্মঘাতী হামলা চলছে। বেশ কয়েকটি হোটেল ও পুলিশ-সেনার চেকপোস্টেও হামলা চালানো হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সিটি সেন্টারের একটি চেকপয়েন্টে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলার ঘটনায় ৮১ জন নিহত হয়েছিলেন । গত বছরের ১১ অগস্ট একটি হোটেলে হামলার ঘটনায় ১১ জন প্রাণ হারান।








































































































































