মালদহের কালিয়াচকে বিএসএফের হাতে ধৃত চিনা নাগরিক হান জুনেইকে জেরা করতে এল উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড। ইতিমধ্যেই এনআইএ-র দল মালদহে বিএসএফ ক্যাম্পে পৌঁছে গিয়েছে হানকে জেরা করতে। সূত্রের খবর, ২ জুন ব্যাবসায়িক ভিসায় হান প্রথমে ঢাকায় পৌঁছন। ১০ জুন চোরাপথে ভারতে ঢুকতে গিয়ে মালদহের কালিয়াচকে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে হান এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ থাকায় চিন তাঁকে ভিসা দিতে চায়নি। তাই ঘুরপথে বাংলাদেশ হয়ে হান ভারতের প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। তবে এর আগেও হান ৪ বার ভারতে এসেছিলেন। ২০১০-এ হায়দরাবাদ, , ২০১৯-এ দিল্লি এবং গুরুগ্রামে একাধিকবার আসেন। তার বিরুদ্ধে চিনের গুপ্তচর হওয়ার সম্ভাবনার সব দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
ধরা পড়ার পর হান জানিয়েছেন, গুরুগ্রামে তাঁর ‘স্টার স্প্রিং’ নামে একটি হোটেল রয়েছে। ব্যবসার কাজে তিনি ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার হানের কাছ থেকে বিএসএফ ম্যাক (অ্যাপলের ল্যাপটপ), ২টি আইফোন, বাংলাদেশ, ভারত এবং চিনের কয়েকটি সিমকার্ড, ২টি পেন ড্রাইভ, ব্যাটারি, ছোট টর্চ, টাকা লেনদেনের যন্ত্র, বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড, ভারত, বাংলাদেশের মুদ্রা এবং মার্কিন ডলার উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের টাকা উদ্ধার হয়েছে।
হান জুনেই-এর চিনা গুপ্তচর হওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তাঁর এক সঙ্গী সান জিইয়াং-কে কিছুদিনের আগেই লখনউ এটিএস গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকেও ১০-১৫টি সিম কার্ড পায় এটিএস। এবার এই তথ্যগুলির ভিত্তিতে তদন্তকারীরা হানকে জেরা করছে। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।












































































































































