নিউটাউন এনকাউন্টার: দুই দুষ্কৃতীর মৃতদেহ শনাক্ত করলো পাঞ্জাব পুলিশ

0
2

নিউটাউনের সাপুরজির আবাসনে লুকিয়ে থাকা পাঞ্জাবের দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী জয়পাল ভুল্লার ও জসসি খারার এনকউন্টারে মৃত্যু হওয়ার পর তাদের মৃতদেহ শনাক্ত করলো পাঞ্জাব পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার বিশেষ বিমানে কলকাতায় চলে আসেন পাঞ্জাব পুলিশের দুই শীর্ষ আধিকারিক।এনকাউন্টারে নিহত কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের দেহ মর্গে গিয়ে শনাক্তও করেছেন তাঁরা।

“অপারেশন গ্যাংস্টার”। শহরতলীর বুকে নিউটাউনের সাপুরজির মতো এলিট ক্লাস এলাকায় একেবারে ফ্লিল্মি কায়দায় শুটআউট। প্রায় ১৫ মিনিটের রুদ্ধশ্বাস গুলির লড়াই। আর তাতেই খতম পাঞ্জাবের দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী জয়পাল ভুল্লার ও জসসি খারার। দুষ্কৃতীদের পাল্টা গুলিতে আহত অপারেশনের লিডে থাকা অফিসার কার্তিকমোহন ঘোষ।

আরও পড়ুন:এক নজরে রাজ্যে পুলিশ-দুষ্কৃতী এনকাউন্টারের ইতিহাস

উল্লেখ্য, জয়পালের ভুল্লারের মাথার দাম ১০ লক্ষ ও জসসির ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল পাঞ্জাব পুলিশ। খালিস্তানি জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকা থেকে শুরু করে পাক মাফিয়াদের সঙ্গে মাদক কারবার, বিদেশে বেআইনি অস্ত্র কারবার, ডাকাতি, অপহরণ, লুঠ, পুলিস কর্মীকে খুন-সহ একাধিক মামলায় পুলিশের খাতায় “মোস্ট ওয়ান্টেড” ছিল জয়পাল ও তার সঙ্গী।

কলকাতা পুলিশের এসটিএফের ভূয়সী প্রশংসা করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। তবে জীবিত ধরা গেলে তদন্তে অনেক জাল খুলে যেতে পারতো বলে মনে করে পাঞ্জাব পুলিশ। কিন্তু কুখ্যাত জয়পাল নিকেশ হওয়াতে অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। এবার সে রাজ্যে অপরাধমূলক কাজকর্ম অনেকটাই কমবে বলে দাবি তাদের।

এদিকে, নিউটাউনে কীভাবে ফ্যাট ভাড়া পেল জয়পাল ভুল্লার ও জসসি খারার তা নিয়ে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাদের ফ্ল্যাটের সন্ধান দেওয়া দু’জন ব্রোকারকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাবাদ করেছে পুলিশ। খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারাও।

Advt