ইয়াস কবলিত এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়াল ১৪ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ড বাংলা সিটিজেন্স ফোরাম এবং ডায়মন্ড ফ্রেন্ডস। ইয়াসের তাণ্ডবে তাজপুরের বাঁধ ভেঙে সমুদ্রের জলে প্লাবিত জলধা গ্রাম। এখন জল নামলেও ভেসে গিয়েছে গবাদিপশু, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর। রোজগারহীন দুর্গত মানুষদের হাতে সোমবার ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হল। ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সুপ্রকাশ গিরি, এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান এবং অন্যান্যরা। কুণাল ঘোষ বলেন, দুর্যোগের কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ দুর্দশার মধ্যে আছেন, তাদের পাশে থাকতে আজকের এই উদ্যোগ। সামান্য ত্রাণ সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেওয়া । রাজ্য সরকার সব সময় এই দুর্গত মানুষদের পাশে আছে। প্রচুর গবাদি পশু ভেসে গিয়েছে । চাষের জমিতে সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে ক্ষতির সম্মুখীন চাষিরা। দ্রুত পরিস্থিতির উন্নয়ন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে হস্তক্ষেপ করেছেন ।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, দ্রুত বাঁধ মেরামতির চেষ্টা হচ্ছে । না হলে ফের সমুদ্রের জল ঢুকে গ্রামগুলি ভাসবে। আজ প্রায় ৩০০ মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে । শুকনো খাবার, জল, স্যানিটারি ন্যাপকিন,জামাকাপড়, মাস্ক বিলি করা হয় ।
ইয়াসের প্রভাবে তাজপুরের বাঁধ ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে । বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, সেচ দফতরের দায়িত্বে এতদিন যারা ছিলেন তারা দায় এড়াতে পারেন না। এখন অন্য দলে গিয়ে তিনি আগেভাগেই সাফাই দিচ্ছেন যে ফাইলে তার স্বাক্ষর ছিল না। যার অর্থ তিনি জানতেন যে এখানকার বাঁধ তৈরিতে গলদ আছে। কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। এখানকার ভূমিপুত্র এখন মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছেন না ।
গ্রামবাসীদের দাবি, আগে বাঁধ মেরামতির ব্যবস্থা করা হোক । না হলে ভরা কোটালে আবার গ্রাম জলে ভেসে যাবে ।বাংলা সিটিজেন্স ফোরামের মৃত্যুঞ্জয় পাল বলেন, মানুষের পাশে এই দুর্যোগের সময় রাজ্য সরকার সবসময় আছে । আমরা সিটিজেন্স ফোরামের তরফ থেকে আজ প্রায় ৩০০ মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিলাম। এখানে না এলে দূর থেকে বোঝা সম্ভব নয় যে কীভাবে বাঁধ ভেঙে গ্রামগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাধ্যমতো দুর্গতদের পাশে থাকার এবং সাহায্য করার চেষ্টা করছি।
দুর্গতদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে ছিলেন উত্তর কলকাতার সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় পাল ও বাবান সোম (সাধারণ সম্পাদক মধ্য কলকাতা তৃনমূল ছাত্র পরিষদ) ও দেবদ্যূতী দেব (রামমোহন কলেজের তৃনমূল ছাত্র পরিষদের পর্যবেক্ষক) । সৌরভ রায় (২৮ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি),
আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী, সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ, বাংলা সিটিজেন্স ফোরামের সভাপতি শ্যামল দত্ত ও সম্পাদক ভাস্কর চৌধুরী।
ত্রাণ দিতে তাজপুরের হাজির ছিলেন
সমাজসেবী দীপক মাইতি , রেবা মাইতি।
ছিলেন রনজিত সাহা, কমলেশ সাউ, অভিমুন্য জয়সওয়াল, সোমনাথ সাহা, সঞ্জয় হাজরা, আশিস দাস, অভিজিৎ দাস ,সোমনাথ পানিগ্রাহী,অনিল হেলা, সৌভিক রায়, অনির্বাণ ঘোষ ও সোনাই ঘোষ ও আরও অনেকে।
ত্রাণসামগ্রী পেয়ে রীতিমতো খুশির ঝিলিক স্থানীয় গ্রামবাসীর।