গোঁদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ উপকূলবর্তী এলাকায় দাপিয়ে বেরিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত এই জেলাগুলির বিভিন্ন এলাকা। এখনও বহু গ্রাম জলের তলায়। সেই সমস্ত গ্রামে স্থানীয়দের সাহায্য করতে পৌঁছে গেলেন কলকাতার দুই রোটার্যাক্ট ক্লাবের সদস্যরা। রোটার্যাক্ট ক্লাব অব ক্যালকাটা মেট্রো সিটি এবং রোটার্যাক্ট ক্লাব অব গভর্নমেন্ট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লেদার টেকনোলজির যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ‘সমব্যথী’। এই ‘সমব্যথী’ই দুর্গত মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
‘সমব্যথী’র সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য এই দুর্যোগের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাই তাঁরা পৌঁছে যাচ্ছেন গঙ্গাসাগর, পাথরপ্রতিমা, মৌসুনিদ্বীপ, কাকদ্বীপ ও দিঘার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের কাছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, তাঁদের কাজে এলাকার ক্লাবগুলি থেকে খুব সাহায্য পাচ্ছেন ৷ সেই কারণে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সমব্যাথীর সদস্যরা ৷ বৃহস্পতিবার ধবলাট ১ নং গ্রাম পঞায়েতের প্রায় ৪০০ মানুষের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ তাঁরা দুর্গতদের জন্য আয়োজন করেছিলেন ভাত, মুগ ডাল, পটল চিংড়ি এবং ডিমের ৷
আরও পড়ুন-শহরে এটিএম জালিয়াতিতে ভিন রাজ্যে তদন্তকারীরা
বৃহস্পতিবার বিকেলে মুড়িগঙ্গা এলাকায় প্রায় ২০০ পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয সামগ্রী দেওয়া হয়েছে ‘সমব্যথী’র পক্ষ থেকে৷ সদস্যদের কথায়, “আমরা হয়তো কোনোভাবেই ওই সমস্ত সর্বশান্ত মানুষদের মুখে হাসি ফোটাতে পারব না, কিন্তু আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা ওই সমস্ত মানুষকে এবং শিশুদের দুর্ভিক্ষের কবল থেকে রক্ষা করতে পারবো। আমদের অনুপ্রেরণাদানকারী সমস্ত শুভাকাঙ্খী মানুষের প্রতিনিধি হয়ে আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চলবে ৷ আমাদের এই প্রয়াসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের সহযোগীতা একান্ত কাম্য৷”
গত ৩০ মে ধবলাট সংলগ্ন এলাকার প্রায় ৭০টি পরিবারকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য দেওয়া হয়েছিল ৷ পাশাপাশি করোনা অতিমারির পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মাস্ক বিলি করছেন ‘সমব্যথী’র সদস্যরা।











































































































































