নয়া কায়দায় শহরে চলছে এটিএম জালিয়াতি (Kolkata ATM Fraud Case)। গত কয়েক দিনে এর তদন্তে নেমে ঘুম ছুটেছে আধিকারিকদের। তাই শহরের এটিএম গুলিতে নজরদারি বাড়াতে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (Kolkata Police)।
তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, নতুন একটি যন্ত্রের সাহায্যে চলছে এই জালিয়াতি। যার সাহায্যে এটিএম থেকে টাকা বের করে নিচ্ছে একটি চক্র। চুরির সময় ব্যাঙ্কের সঙ্গে লিঙ্ক ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এটিএম-এর। এটিএম থেকে টাকা চুরি হলেও কোনও গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা যাচ্ছে না।
অবশ্য তদন্তকারীরা জালিয়াতদের সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছেন। অবশ্য অভিযোগকারী সংস্থাকেও সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ। মূলত তাদের বিরুদ্ধে ‘গাফিলতি’র অভিযোগ তুলেছেন তদন্তকারীরা ।
সংস্থাটি বিদেশি হলেও তার কয়েকজন ভারতীয় কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন লালবাজারের কর্তারা।
এদিকে, জালিয়াতদের সন্ধানে ইতিমধ্যেই দিল্লি ও ফরিদাবাদ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। একটি টিম দিল্লি ও ফরিদাবাদে খুব শীঘ্রই রওনা দেবে বলে জানা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত সাতটি এটিএম থেকে দু’কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও তিনটি। ফলে প্রায় আড়াই কোটি টাকা গায়েব হয়েছে বলেই সন্দেহ পুলিশের।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দিল্লি, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ থেকে শুরু করে কলকাতার যতগুলি এটিএমে এই জালিয়াতি হয়েছে, প্রত্যেকটিই রক্ষণাবেক্ষণ করে এই বিদেশি সংস্থাটি। আর এটাই বিশেষ করে ভাবাচ্ছে গোয়েন্দা কর্তাদের ।



































































































































