দলবদলু দুই সাংসদের সাংসদ পদ খারিজের জন্য অধ্যক্ষের কাছে চাপ বাড়ালো তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার বিকেলে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের তোপ, কোভিড পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থীকে মনোনীত সাংসদ করতে সময় নষ্ট করছেন না কেন্দ্র বা রাষ্ট্রপতি। অথচ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া দুই দলবদলু সাংসদ শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টিতে পদক্ষেপ করার সময়ই পাচ্ছেন না অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। বারবার এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও সাড়া দিচ্ছেন না অধ্যক্ষ। তৃণমূল চায় অবিলম্বে এই রাজনীতি বন্ধ করুক কেন্দ্র।
বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস অধ্যক্ষকে প্রথম চিঠি দেয় ৪ জানুয়ারি। ফের ‘রিমাইন্ডার’ চিঠি যায় ১২মে। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে চিঠি যায় ১৭মে। চিঠিগুলি দিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কুণাল সেই চিঠি সংবাদমাধ্যমের হাতে দিয়ে বলেন, দুই দলবদলুই তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। কিন্তু ভোটের পর থেকে এবং ইয়াসের পর দুজনই ঘরে বসে গিয়েছেন, কার্যত জনবিছিন্ন। অথচ কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষ চাইছেন জনপ্রতিনিধিদের পরিষেবা। ফলে দিনের শেষে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মানুষ সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন না। তাই অধ্যক্ষের কাছে তৃণমূলের আবেদন, এদের সাংসদ পদ খারিজ করে নির্বাচন করে নতুন জনপ্রতিনিধকে কাজ করার সুযোগ দিন, মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
আরও পড়ুন-মেডিকেল কলেজ থেকে উধাও করোনার জীবনদায়ী ১০ লক্ষ টাকার ইঞ্জেকশন!
তৃণমূল মুখপাত্র এরপর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন, কেন্দ্র এই বিষয়টি নিয়েও রাজনীতি করছে। লোকসভার অধ্যক্ষ পদক্ষেপ করছেন না। অথচ বিজেপির স্বপন দাশগুপ্ত রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করে বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটে পরাজিত হওয়ার এক মাসের মধ্যে ফের তাঁকে রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ করে ফেললেন রাষ্ট্রপতি। বিধানসভায় পরাজিত বিজেপি প্রার্থীকে ফের সাংসদ করতে যে তৎপরতা দেখাচ্ছে কেন্দ্র, দলবদলু দুই সাংসদের পদ খারিজে সে পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এটাই হচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপির রাজনীতি, অনৈতিক রাজনীতিক। পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছেন মানুষকে।












































































































































