রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির তোলা অপশাসনের অভিযোগ ভোঁতা করে দিল খোদ কেন্দ্রীয় সরকারই। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত (panchayet) ব্যবস্থার কাজকর্ম সুচারুভাবে অব্যাহত রাখার স্বীকৃতি দিল কেন্দ্রীয় সরকার। পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় ‘e-governance’ ব্যবহারের নিরিখে দেশের ২৮টি রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান ছিনিয়ে নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (west bengal govt)। অতিমারি সংকটের মধ্যে ডিজিটাল যোগাযোগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পঞ্চায়েতের কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা ও তার সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে মনে করছে মোদি সরকার। সেই কাজের স্বীকৃতিই দেওয়া হল রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরকে। দেশে তৃতীয় স্থানাধিকারী হিসাবে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের কাছে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের মানপত্র এসে পৌঁছেছে।
রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত দেশের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতে ভাল কাজের নিরিখে রাজ্যের কয়েকটি জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত সেরার স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে আছে বীরভূম, বর্ধমান,পুরুলিয়ার মতো জেলা। কেন্দ্রের কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ায় খুশি রাজ্য। ভাল কাজের স্বীকৃতি মেলার পর নতুন উৎসাহে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনর্গঠনের কাজে গতি বাড়ানো হয়েছে। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গ্রামীণ রাস্তা মেরামত, পঞ্চায়েতের হাতে থাকা বাঁধ নির্মাণ, আবাস তৈরির মত কাজ করানো হবে।
আরও পড়ুন- কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে এবার ভ্যাকসিনেশন অন হুইলস
