ভারতবর্ষে প্রথম কোন নারীর নামে রেল স্টেশন।
এ এক গর্বের ইতিহাস!
সেই রহস্যের সন্ধানে আজ আমাদের যাত্রা।
হাওড়া- বর্ধমান কর্ড লাইনে একটি রেলস্টেশনেের নাম বেলানগর।
নেতাজি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এলেন।
নেতাজির সঙ্গে বেরিয়ে এলেন ভাইঝি বেলা বসুও।
বেলা বসু নেতাজির দাদার মেয়ে।
নেতাজি তখন আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেছেন।
বেলা আজাদ হিন্দ বাহিনীর সিক্রেট সার্ভিসের দায়িত্ব পেলেন।
কলকাতা থেকে গোপনে রেডিও ট্রানসমিটার মারফত সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ বাহিনীকে এখানকার খবর সব পাঠাতেন।
আজাদ হিন্দ বাহিনীর সিক্রেট সার্ভিসের একটি বড় দায়িত্বে ছিলেন আরেক জন স্বাধীনতা সংগ্রামী।
তাঁর নাম হরিদাস মিত্র।
হরিদাস মিত্রের সঙ্গে বিবাহ হল বেলা মিত্রের।
বেলা মিত্র দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ডানকুনির কাছে উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনে কাজ করতে শুরু করেন।
অক্লান্ত পরিশ্রম করার ফলে মাত্র বত্রিশ বছরে বেলা মিত্র চলে গেলেন।
১৯৫৮ সালে সংলগ্ন এলাকায় বেলা মিত্রের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি রেলস্টেশন স্থাপন করা হয়।
সেই রেল স্টেশনটিই হল আজকের বেলানগর রেল স্টেশন।
স্বাধীন ভারতে বেলানগর রেল স্টেশনই হ’ল কোন নারীর নামে প্রথম রেলস্টেশন।
শেষে আর একটা বড় চমক!
বেলা মিত্র হলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্রের মা।
বাবা হলেন হরিদাস মিত্র।
রাজ্যের প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার।
এক বছর আগে শতবর্ষ পেরিয়ে গেছে বেলা মিত্রের (১৯২০- ১৯৫২)
এবার যখন ট্রেনে করে বেলানগর স্টেশনের ওপর দিয়ে যাবেন, আশা করি সেই মহীয়সী নারীর কথা নিশ্চয় মনে পড়বে।
হয়’ত ট্রেনের জানলা দিয়ে দেখতে দেখতে অজান্তে একটি হাত কপালে উঠে আসতে পারে।
একটু দীর্ঘশ্বাস!
বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলেন নেতাজির ভাইঝি!
দেরীতে হলেও আমাদের গভীর শ্রদ্ধা রইল।
পুনশ্চঃ
বর্তমান পত্রিকায় এই ঘটনা পড়ে
নিজের মত করে জানালাম আমার একান্ত ভালবাসা ও শ্রদ্ধা।




































































































































