বৃহত্তর বেঞ্চে হাইভোল্টেজ শুনানি, “গৃহবন্দি” ৪ নেতা-মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ হাইকোর্টে

0
2

নারদা মামলায় (Narada Scam Case) আজ, সোমবার ফের কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) হাইভোল্টেজ শুনানি। পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে হাইভোল্টেজ শুনানির পর “গৃহবন্দি” (House Arrest) ৪ নেতা-মন্ত্রীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে হাইকোর্টে। বেল নাকি জেল? তার ফয়সালা হবে। একইসঙ্গে এই মামলা রাজ্যের বাইরে যাবে কি-না, তা নিয়েও জোর সওয়াল-জবাব হবে ভার্চুয়াল শুনানিতে। মেগা শুনানির জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব পক্ষই। আদালতের রায় জানতে মুখিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা।

https://shrachirealty.com/project/renaissance/

 

 

গত ১৭ মে সকালে নারদ মামলায় শাসক দলের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) , বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে (Sovon Chatterjee) বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI)। এরপর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। আসরে নামেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banarjee)। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রের শাসক দলের অঙ্গুলিহেলনে সিবিআই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে, রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধবকড়ের (Jaydeep Dhankar) অনুমতিতে এই গ্রেফতারি বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এরপর গত ২১ মে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল (Rajesh Bindal) এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Arijit Banerjee) ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। বেঞ্চের দুই বিচারপতির মতানৈক্যের জেরে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেল কর্তৃপক্ষ এবং সিবিআই নজরদারিতে “গৃহবন্দি” রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আজ, সোমবার সেই বৃহত্তর বেঞ্চে থাকছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গেই বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, হরিশ ট্যান্ডন (Hadish Tandan), আই পি মুখোপাধ্যায় (I P Mukherjee) এবং সৌমেন সেন (Soumen Sen)। সিবিআইয়ের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল (SG) তুষার মেহতা (Tushar Meheta) এবং অভিযুক্তদের আইনজীবী হিসেবে থাকছেন অভিষেক মনু সিংভি (Abhishek Monu Singhvi), সিদ্ধার্থ লুথরা (Siddhartha Luthara) এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banarjee)। গোটা শুনানি প্রক্রিয়াটি চলবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মে গ্রেফতারের দিন গভীর রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় চার নেতা-মন্ত্রীকে। অসুস্থ বোধ করায় পরদিন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্রএবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। তবে অসুস্থতা নিয়েও জেলেই সাধারণ বন্দিদের মতো থাকেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এরপর গত শুক্রবার হাইকোর্টের “গৃহবন্দি” নির্দেশের পর চেতলার বাড়িতে ফিরে যান ফিরহাদ। সেখান থেকেই করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ প্রতিরোধে ভার্চুয়ালি কাজকর্ম শুরু করেছেন তিনি। অন্যদিকে, গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়। যদিও রিস্ক বন্ডে সই করে গোলপার্কের বাসভবনে ফিরে ‘”গৃহবন্দি” শোভন চট্টোপাধ্যায়।

Advt