করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল গোটা দেশ। আট থেকে আশি, সংক্রমণের হাত থেকে বাদ পড়ছে না কেউই। চিকিৎসকদের কথায়, বাচ্চারা কোভিডের জেরে খুব অসুস্থ হয়ে না পড়লেও তাঁদের উপর সবরকম নজর রাখা জরুরি। সাধারণত বাচ্ছাদের উপর করোনার প্রভাব খুব বেশি না পড়লেও তাঁদের মধ্যে মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ফলে অনেক বাবা-মায়েরাই বুঝতে পারছেন না যে তাঁর বাচ্চা কোভিড আক্রান্ত। বাচ্চা বাড়িতে থাকলেও তার কোভিড হতে পারে। সেক্ষেত্রে সংক্রমণের ধরণ কী হতে পারে তা একনজরে দেখে নিন:
পেটব্যাথা : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উপসর্গের মধ্যে জ্বর ছাড়াও পেটব্যাথা বা হজমের গণ্ডগোল দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন বাচ্চার পেট ফুলে যাওয়া বা পেট ব্যাথা বা হজমের সমস্যা হচ্ছে কিনা। অনেকসময় বাচ্চারা খেতে চায় না। তবে একেবারে না খেতে চাওয়াটাও করোনার উপসর্গ হতে পারে। সুতরাং সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ডাইরিয়া: বাচ্চাদের কোভিড সংক্রমণের অন্যতম উপসর্গ ডাইরিয়া। অতিরিক্ত বমি বা খুব বেশি পেট খারাপ লক্ষ্য করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
জ্বর: করোনার প্রাথমিক লগ্নে জ্বর বা ফ্লু ছিল অন্যতম উপসর্গ। কোভিডের কারণে জ্বর এসে তাড়াতাড়ি সেরে গেলেও এর সঙ্গে কাঁপুনি, ক্লান্তিভাব দেখা যাচ্ছে। জ্বরের তাপমাত্রা বারবার চেক করুন। কখনও তাপমাত্রা ১০২ পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২-৩ দিনের মধ্যেই জ্বর সেরে যেতে দেখা যাচ্ছে। তবে তার থেকে বেশিদিন জ্বর থাকলে বাচ্চাকে ঘরে না রাখাই ভাল।
ক্লান্তিভাব: বাচ্চা অ্যাকটিভ থাকছে কিনা সেদিকে নজর রাখুন। অল্পতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছে বা খুব ক্লান্ত বোধ করছে,টানা ঘুমের সমস্যা হলেও এগুলি করোনার মৃদু উপসর্গের অন্যতম।
র্যাশ: গত বছরই ‘কোভিড টোজ’ দেখা গিয়েছিল। অর্থ্যাৎ ত্বকের সমস্যা এবং বাচ্চাদের গায়ে র্যাশও কোভিডের অন্যতম উপসর্গ ।বাচ্চাদের শরীরে কোনও ধরণের অদ্ভুত লালচে দাগ বা ফুশকুরি বা র্যাশ চোখে পড়লেই সতর্ক হন। এমনকি কোভিডের সংক্রমণে নখও ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে।
সর্দি-কাশি: বাচ্চাদের মধ্যে কোভিডের জন্য ফুসফুসে সংক্রমণ খুব একটা শোনা যায়নি। তবে ঠান্ডা লাগা, টানা কাশি, গলা ব্যথার মতো কিছু উপসর্গ দেখা দিতেও পারে।






























































































































